ভীতি নয় প্রয়োজন সচেতনতা
মাজহারুল ইসলাম শামীম
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ষড়ঋতুর এ দেশে সাধারণত জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বর্ষাকাল। এ সময়ে একদিকে প্রকৃতি নৈসর্গিকতা খুঁজে পায়, অন্যদিকে প্রকৃতি থেকে সৃষ্ট কিছু ঘটনায় জনজীবনে দুর্ভোগও নিয়ে আসে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ডেঙ্গুজ্বর। এটি সাধারণ এডিস মশার কামড়ে হয়। বর্ষাকালে হাসপাতালে যেন ডেঙ্গু রোগীর ঢল নামে। এ দাগকাটা এডিস মশা সাধারণত রাতে কামড়ায় না। এরা দিনেই কামড়ায়। ম্যালেরিয়ার মশার মতো একজনকে কামড়িয়ে শেষ হয় না। এরা একসঙ্গে অনেকজনকে কামড় থাকে। জ্বরের সময় এতটাই ব্যথা হয়, অনেকে এটাকে শরীরের হাড়-ভাঙার ব্যথার সঙ্গেও তুলনা করেছেন। তাই এ সময়ে এডিস মশা থেকে রক্ষা পেতে সতর্ক থাকতে হবে।
এ সময় করণীয়
মশারি ব্যবহার : অবশ্যই দিনে-রাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। যাতে মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। প্রয়োজনে মশার ব্যাট ব্যবহার করুন।
বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার : সাধারণত তিন দিনের বেশি বাড়ির চারপাশের কোথায়ও যেন পানি জমে না থাকে, পুরোনো টায়ার, ডাবের খোল, বালতি, বোতল, ফুলের টবে ইত্যাদি পাত্রে পানি জমে না থাকে।
ছাদবাগান : অনেকে শখের বশে ছাদবাগান করে থাকেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, ছাদ যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। ছাদে যেন ময়লা-আর্বজনা জমিয়ে না থাকে, সেদিকে সচেতন থাকতে হবে।
মশা নিরোধক ব্যবহার
বাড়ির চারপাশে বা বাসার মধ্যে পোকামাকড় নিরোধক স্প্রে ব্যবহার করুন। তবে এসব স্প্রে আবার শিশু বা বৃদ্ধের জন্য ক্ষতিকর কিনা তা লক্ষ রাখতে হবে।
পোশাক পরিধান
পোশাক এমনভাবে পরিধান করুন, যাতে শরীরের প্রায় অংশ ঢেকে থাকে। এক্ষেত্রে ফুলহাতা শার্ট ও টি-শার্ট, ফুল প্যান্ট, লম্বা ঝুলের ফ্রক, মোজা ও জুতা ব্যবহার করা ভালো।
* ফেলে দেওয়া বা অব্যবহৃত হাইকমোডে হারপিক দিয়ে রাখতে হবে। যাতে করে মশা বংশবৃদ্ধি করতে না পারে।
* বাড়ির চারপাশে ড্রেন বা জলাশয় থাকলে খেয়াল রাখতে হবে যেন জলবদ্ধতার সৃষ্টি না হয়, এসব স্থানে মশা নিরোধক স্প্রে ব্যবহার করতে হবে অথবা সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি করপোরেশনকে অবহিত করুন।
* চলাচল ও বিশ্রামের জায়গায় কখনো ময়লা-আবর্জনা রাখা যাবে না।
সবশেষ বলা যায়, সচেতনতাই একমাত্র হতে পারে ডেঙ্গুরোধে উত্তম উপায়। এক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আর আক্রান্ত ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিতে হবে।
