সিসিএএফ’র জরিপ
এক বছরে সাইবার অপরাধ বেড়েছে ১২ শতাংশ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গত এক বছরে দেশে সাইবার অপরাধ বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। আর গত ৫ বছরে সাইবার অপরাধে ভুক্তভোগী প্রায় দুই লাখ মানুষ অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে, যা ভুক্তভোগীদের মাত্র ১২ শতাংশ। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জরিপের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএএফ)। ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস অক্টোবর-২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সরকারি-বেসরকারি খাতের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।
সিসিএএফ’র জরিপে জানা গেছে, ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধের শিকার ৮০ শতাংশই ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সি। আর ভুক্তভোগী ৬০ শতাংশই নারী। তাদের দাবি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নেও সংঘটিত হয়েছে সাইবার অপরাধ। এ ছাড়াও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ডিপফেকিং এই অপরাধ বাড়ানোর পেছনে দায়ী বলেও মনে করেন আলোচকরা।
সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতাবিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব মুশফিকুর রহমান বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের জ্ঞান অনেক কম। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে ফটোকার্ড তৈরির মাধ্যমে অনেক ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এসব বিষয় যাচাই ছাড়া শেয়ার করা উচিত নয়। ফাউন্ডেশনের ২০২৪ সালের গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মুশফিকুর রহমান জানান, সাইবার অপরাধে ভুক্তভোগীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৮ দশমিক ৭৮ শতাংশের বয়সই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এছাড়া আক্রান্তদের প্রায় ৫৯ শতাংশই নারী। অপরাধের ধরনের মধ্যে ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনে অ্যাকাউন্ট বেদখলের (হ্যাকিং) শিকার হয়ে শীর্ষে রয়েছে। এক বছরে এই হার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। আলোচনা সভায় রবির সাইবার সিকিউরিটি প্ল্যানিং বিভাগের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শফি উল্লাহ বলেন, প্রযুক্তির কোনো বাউন্ডারি নেই। যেভাবে বিশ্বের অন্যরা প্রতারিত হয়- আমরাও হচ্ছি। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার যে স্তরে চলে গেছি- ঠিক সেই স্তরে আমাদের সচেতনতা নিয়ে যেতে হবে।
সিসিএএফের উপদেষ্টা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক প্রকৌশলী সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব ভুয়া তথ্য ছাড়ানো হয়- তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে। অনেক দল বা ব্যক্তি প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এ ধরনের পোস্ট পরিকল্পিতভাবে ছড়ায়।
বেসরকারি সংস্থা ব্লাস্টের উপ-পরিচালক তাপসী রাবেয়া বলেন, শহরের উচ্চ শিক্ষিত অনেকেই অনলাইনে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এসব ভুক্তভোগীর ১৫-২৫ শতাংশই আইনের আশ্রয় নিতে চায় না। কারণ তারা নিজেদের অসচেতনতার কারণে এসব অপরাধের শিকার হন।
