বিএলএফ’র গবেষণা প্রতিবেদন
৩২% পোশাক শ্রমিকের আয় ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পোশাক শ্রমিক
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দেশের তৈরি পোশাক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের প্রায় ৩২ শতাংশ ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কম আয় করেন। ৭৮ শতাংশ শ্রমিক পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য জোগাতে পারেন না। প্রতি আটজনের একজন শ্রমিক ঋণের জালে আটকা। সাব-কন্ট্রাক্টেড ও মিশ্র ধরনের কারখানায় ১২ ঘণ্টার শিফট বা অতিরিক্ত কাজ করা সাধারণ ঘটনা। বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশনের (বিএলএফ) গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণার বিষয় ছিল : ‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে জবরদস্তিমূলক শ্রম ও শিশুশ্রম : ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ ও সমাধানে দিকনির্দেশনা’। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পোশাক সরবরাহ শৃঙ্খলের নিম্নস্তরে এখনো জবরদস্তিমূলক শ্রম ও শিশুশ্রম বিদ্যমান। শিশুশ্রমিকদের প্রায় ৮০ শতাংশ সাব-কন্ট্রাক্টেড বা মিশ্র চুক্তিভিত্তিক কারখানায় কাজ করে। তাদের ৯৯ শতাংশ সপ্তাহে ৩৬ ঘণ্টার বেশি কাজ করে। চাকরিতে যোগদানের ক্ষেত্রে বয়স-সংক্রান্ত নথি জাল করার ঘটনাও খুবই সাধারণ বিষয়। চট্টগ্রাম অঞ্চলে শিশুশ্রমের হার ঢাকার তুলনায় বেশি। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়া ৯৮ শতাংশ শিশুশ্রমিক বর্তমানে স্কুলে যায় না। যার প্রধান কারণ আর্থিক সংকট।
প্রতিবেদনটি সব খাতে ন্যায্য জীবিকা নির্বাহযোগ্য মজুরি বাস্তবায়নের সুপারিশ তুলে ধরেছে। কারণ অর্থনৈতিক কষ্টই শিশুশ্রম ও জোরপূর্বক শ্রমের মূল কারণ। পাশাপাশি শিশুদের শিক্ষা অব্যাহত রাখার সুযোগ নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে কাজ করতে পারে। বিএলএফ এবং যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাইটস ল্যাব যৌথ উদ্দ্যোগে এবং যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিএলএফের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এএইচএম মোরশেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। গবেষণার পটভূমি তুলে ধরেন বিএলএফ’র সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ইয়াসিন আরাফাত। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গুডউইভের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর শাহিনুর রহমান। গবেষণার মূল ফলাফল তুলে ধরেন বিএলএফ’র প্রোগ্রাম অফিসার মো. জুবায়ের আলম।
