খুলনার সেই গৃহবধূ রহিমা বেগম (৫৫) ফের ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ফের আলোচনায় এসেছে। তবে রহিমার ‘নিখোঁজ কাণ্ড’ নিয়ে বিব্রত তার ছেলে মিরাজ আল সাদী। সোমবার তিনি মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, রহিমা বেগমকে উদ্ধারের পর ২৫ সেপ্টেম্বর আদালত তাকে তার মেয়ে আদুরি খাতুনের জিম্মায় দেন। সোমবার দুপুরে রহিমার ছেলে মিরাজ আল সাদী মায়ের বারবার ‘নিখোঁজ কাণ্ড’ ও নিরীহ ব্যক্তিদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করায় মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

মিরাজ আল সাদি বলেন, আমার মা আবার ‘নিখোঁজ’ হয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে আমি বিব্রত। সে কারণে আমার মা কিংবা বোনদের সঙ্গে ভালো কোনো যোগাযোগ নেই। তাই কখন থেকে তিনি আবার ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন সেটা জানি না। তবে বিষয়টি নিয়ে এতটাই বিব্রত যে আমি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছি।

গত ২৭ আগস্ট খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে গৃহবধূ রহিমা বেগম ‘নিখোঁজ’ হন। পরদিন রহিমা বেগমের মেয়ে আদুরী খাতুন বাদী হয়ে প্রতিবেশীদের নামে দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন। ২৭ দিন পর ২৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার বোয়ালমারী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে।