নির্বাচন কমিশনের মাঠ কর্মকর্তাদের বেতন গ্রেড উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশ অনুযায়ী ‘ক’ শ্রেণির ২৩০টি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদ নবম গ্রেড থেকে উন্নীত করে ৬ষ্ঠ গ্রেড হবে। এছাড়া বৃহত্তর ১৯টি জেলার মতো দেশের সব জেলার নির্বাচন কর্মকর্তার পদটি হবে পঞ্চম গ্রেডে। বুধবার নির্বাচন কমিশনের প্রশাসনিক সংস্কার কমিটির বৈঠকে এসব গ্রেড উন্নীতের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়। প্রশাসনিক সংস্কার কমিটির প্রধান ও নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিশন সভায় এসব প্রস্তাব অনুমোদনের পর এই সুপারিশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

বৈঠকের সুপারিশের বিষয়ে আনিছুর রহমান বলেন, বর্তমানে ১৯টি বড় জেলায় উপসচিব পদমর্যাদার ৫ম গ্রেডের কর্মকর্তা আছে। বাকি ৪৫টি জেলায় আছেন ৬ষ্ঠ গ্রেডের কর্মকর্তা। এতে বদলিসহ নানা ধরনের বিপত্তি হয়। এজন্য আমরা ১৯টির মতো বাকি ৪৫টি জেলায় ৫ম গ্রেডের পদ সৃষ্টির সুপারিশ করেছি। যাতে সব জায়গায় একই গ্রেডের কর্মকর্তা থাকেন। এটা করতে গেলে সরকারের অতিরিক্ত কোনো অর্থ ব্যয় হবে না, কেবল তাদের গ্রেডটি পরিবর্তন হবে।

উপজেলা কর্মকর্তাদের পদ আপগ্রেড করার প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, উপজেলা ও থানা (বিভাগীয় শহরে) মিলে ৫২২টি পদ রয়েছে। বর্তমানে উপজেলার পদটি নবম গ্রেডের। আমরা ২৩০টি ‘ক শ্রেণির’ উপজেলার পদ ৬ষ্ঠ গ্রেডে করার সুপারিশ করেছি। এক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সুযোগ হবে। এতে আর্থিক ব্যয় নেই বললেই চলে। কারণ কর্মরত সব কর্মকর্তাই ইতোমধ্যে ৬ষ্ঠ গ্রেডের বেশি বেতন স্কেল পাচ্ছেন। এ পদ আপগ্রেডের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসারা ১৬/১৭ বছর একই পদে কাজ করছেন। তাদের কেউ কেউ জেলা নির্বাচন অফিসার হয়েছেন। কেউ আঞ্চলিক কর্মকর্তা হয়েছেন। যারা পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন তাদের জন্য আমরা কিছু সুপারিশ করেছি নতুন পদ সৃষ্টির জন্য। কিছু করেছি পদ উন্নীতকরণের জন্য। একই পদে দীর্ঘদিন কাজ করলে কাজের স্পৃহা কমে যায়। এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের দাবিও ছিল। তিনি জানান, পদ আপগ্রেডের বিষয় নিয়ে তারা আগেও বৈঠক করেছিলেন। আজকের বৈঠকে এটি পরিশালিত হয়েছে। কমিশন সভায় অনুমোদন করে পদ সৃষ্টির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এদিকে নবসৃষ্ট সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসারের পদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ পদের কিছু সরাসরি রিক্রুট হবে। আর বেশিরভাগ হবে পদোন্নতির মাধ্যমে। সেটার নিয়োগ বিধি ছিল না। আমরা খসড়া একটি নিয়োগ বিধি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।