বিবিএসের প্রতিবেদন
চূড়ান্ত হিসাবে কমল জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা লেগেছে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাছিু আয়ে। প্রায় দুই মাসের ব্যবধানে চূড়ান্ত হিসাবে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় কমেছে ৩১ ডলার। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৯৩ ডলারে নেমে এসেছে। এর আগে বিদায়ী বছরের ১৪ নভেম্বরের সাময়িক হিসাবে এই আয় ছিল ২ হাজার ৮২৪ ডলার। মাথাপিছু আয় কমার পাশাপাশি মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধিও কমে ৭ দশমিক ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। সাময়িক হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।
রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চূড়ান্ত এই হিসাব প্রকাশ করেছে। গত বছরের ১০ মে সাময়িক হিসাব প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবছর শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ৩০ জুন। সাত মাসের বেশি সময় পার হওয়ার পর রোববার জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়সহ ওই অর্থবছরের অর্থনীতির অন্যান্য সূচকের চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করল পরিসংখ্যান ব্যুরো।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম যুগান্তরকে বলেন, এটা স্বাভাবিক। চূড়ান্ত হিসাবে কম বা বেশি হতে পারে। গত অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় কমা মানেই হচ্ছে এটি প্রকৃত হিসাব। এখনো কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়নি। প্রকৃত চিত্র যা এসেছে তাই প্রকাশ করেছে বিবিএস। এটা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ নেই।
মাথাপিছু আয় ও জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার কারণ জানতে চাইলে বিবিএসের মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, ‘দুই বছরের করোনা মহামারির ধাক্কা কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। গত অর্থবছরের শেষের চার মাসের বেশি সময় (২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ জুন) গেছে উত্তাল যুদ্ধের মধ্যে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও সেই যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। বিনিয়োগ কমেছে। সব মিলিয়েই জিডিপি প্রবৃদ্ধি খানিকটা কমেছে। এর ফলে মাথাপিছু আয়ও ৩১ ডলার কমে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘৭ দশমিক ১০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি এটাই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। জিডিপির এই তথ্য হিসাবের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের এদিক-সেদিক করা হয়নি। সারা দেশ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে, সেটাই প্রকাশ করা হয়েছে।
