অন্যের জমিতে মদিনা টাওয়ার নামে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অন্যের জমি দখল করে জোয়ার সাহারা মৌজার মানিকদি নামাপাড়াতে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হক গংয়ের বিরুদ্ধে। মমতাজ বেগম (৬৬) নামে এক নারীর অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে তার জায়গাতে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন।
মমতাজ বেগম অভিযোগ করেন, ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হকসহ ৬৪ জন মিলে ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকার জোয়ার সাহারা মৌজার ১২০৮৬ দলিলের হোল্ডিং ১৮/৩১২ নম্বরে মদিনা টাওয়ার নামে বহুতল ১০ তলা ভবন নির্মাণ করছেন। ভবনের মাঝখানে আমাদের আড়াই কাঠা জমি রয়েছে। এই জমির ওপরেই তারা কৌশলে ভবন নির্মাণ করছেন। করোনা মহামারির কারণে জমির খোঁজখবর না রাখার সুযোগে ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল গং মমতাজ বেগমের সীমানার আড়াই কাঠা জায়গাসহ ভবন নির্মাণ করে। পরে এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে, তারা তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেয়। এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে জমির মালিক পক্ষকে একটি পক্ষ কিছু ক্ষতিপূরণ নিয়ে জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। তারা ক্ষমতার দম্ভে কিছুই মানছেন না।
তিনি আরও দাবি করেন ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হক গং ২২৫১৮ দাগের জমি ক্রয় করেন। কিন্তু তিনি ২২৩০৫ দাগের আড়াই কাঠা জমির মধ্যে এসে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রাও কোনো সমাধান দিতে পারেননি।
মমতাজ বেগম আরও অভিযোগ করেন, ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হক গং প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিষয়ে কেউ হস্তক্ষেপ করতে চায় না। তাই তিনি জোর করে তাদের জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হক বলেন, আমি মাত্র একটি শেয়ারের মালিকের বেশি কিছু জানি না জমির বিষয়ে ইয়াকুব সাহেব বলতে পারবেন আমি কিছুই জানি না। অথচ জমির সামনে মদিনা টাওয়ারের সাইনবোর্ডে মালিকগণের নামের জায়গায় মোজাম্মেল হক গং লেখা রয়েছে।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক তুশার পাঠান বলেন,আসলে এই ইয়াকুব একজন ভেজাল মানুষ তিনি মূলত জমির দালালি করেন আর হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। তার কাজ হলো নিরীহ লোকজনের পাশে জমি কিনে ভেজাল লাগিয়ে ওই জমিসহ দখল করা।
পরবর্তীতে ইয়াকুব সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কারও জমিতে ভবন নির্মাণ করিনি। আমাদের জমিতেই আমরা কাজ করছি। আর আপনার কথা আমি রেকর্ডিং করে রাখছি আপনি আমাকে কল দিয়েছেন কেন? আমাকে যে দালাল বলছে সে দালাল। আমার জীবনে কোনোদিন আমি দালালি করিনি, একটা প্রমাণ দিতে বলেন। আমি হোমিও ডাক্তার।
