Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

পাসপোর্ট অফিস চালু হচ্ছে আফতাবনগরে

উদ্বোধনের দিন থেকেই নেবে আবেদন * সুবিধা পাবেন ৯ থানার বাসিন্দা

Icon

তোহুর আহমদ

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পাসপোর্ট অফিস চালু হচ্ছে আফতাবনগরে

নাগরিক ভোগান্তি হ্রাস এবং সেবার মান বাড়াতে রাজধানীর বনশ্রী ও রামপুরাসংলগ্ন আফতাবনগরে চালু করা হচ্ছে আরেকটি নতুন পাসপোর্ট অফিস।

সবকিছু ঠিক থাকলে ৭ মে সকাল ৯টায় আবেদন জমা নেওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হবে। রাজধানীর ৭ম এ পাসপোর্ট অফিসের দাপ্তরিক নাম হবে ‘আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ঢাকা পূর্ব’।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের ওপর থেকে মাত্রাতিরিক্ত চাপ কমানো এবং সেবা সহজ করার লক্ষ্যে রাজধানীতে একাধিক অফিস এবং আবেদন প্রক্রিয়াকরণ সেন্টার (এপিসি) স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সে মোতাবেক মোহাম্মদপুর এলাকায় ‘ঢাকা পশ্চিম’ নামে একটি অফিস ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা সেনানিবাস ও সচিবালয়ের ভেতরে চালু হওয়া দুটি এপিসি এখন পূর্ণাঙ্গ অফিসে রূপান্তর হয়েছে।

সূত্র জানায়, ঢাকা পূর্ব অফিস চালু হলে রাজধানীর মুগদা, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, রামপুরা, মতিঝিল, পল্টন, বাড্ডা ও হাতিরঝিলসহ মোট ৯টি থানার আওতাধীন এলাকার বাসিন্দারা এর সেবা এবং সুবিধা পাবেন।

পাসপোর্ট সেবার জন্য তাদেরকে আর আগারগাঁও, কেরানীগঞ্জ (যাত্রাবাড়ী অফিস) বা উত্তরায় যেতে হবে না। এ ছাড়া চাপ কম থাকায় কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা স্বাচ্ছন্দ্যে সেবা নিতে পারবেন।

তবে ভুক্তভোগীরা আশঙ্কা করছেন এমন একটি ভালো উদ্যোগ নেওয়া হলেও জনগণ এর সুবিধা ভোগ করতে পারবে না।

তারা বলছেন, পাসপোর্ট সেবায় অনেকটা শর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তাই অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি রোধ করতে না পারলে কোনো ভালো উদ্যোগই সফলতার মুখ দেখবে না। ইতোপূর্বেও একাধিক ভালো উদ্যোগ দুর্নীতিবাজরা সফল হতে দেয়নি।

সূত্র জানায়, আপাতত আফতাবনগর অফিসের কার্যক্রম চলবে আফতাবনগর মেইন রোডের ৮ নম্বর এভিনিউ, এফ ব্লক, সেকশন ২-এর ২ নম্বর ভাড়া বাড়িতে।

চার তলা ভবনজুড়েই মিলবে পাসপোর্ট সেবা। ইতোমধ্যে অফিসের বিভিন্ন ফ্লোরে কাউন্টার, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডেস্ক এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র বসানো থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সাজসজ্জা শেষ হয়েছে। অফিস ভবনে সুপেয় পানি, মাতৃদুগ্ধ কর্নার ও সেবা প্রত্যাশীদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। দালালমুক্ত রাখতে অফিস চত্বরে সার্বক্ষণিক আনসার ও পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

পাসপোর্ট অধিদফতর বলছে, জনবল এবং ধারণক্ষমতা অনুযায়ী নতুন অফিসে দৈনিক সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ আবেদন জমা নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অনেকেই না বুঝে পাসপোর্ট করতে আগারগাঁও ছোটেন। এতে সেবা বিকেন্দ্রিকরণের উদ্যোগ যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি আগারগাঁওয়ে মাত্রাতিরিক্ত চাপ তৈরি হচ্ছে। এর সুযোগ নিচ্ছে দালাল চক্র।

এ কারণে এক এলাকার বাসিন্দাদের অন্য এলাকায় পাসপোর্ট আবেদন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। পাসপোর্ট অধিদফতরের সিস্টেম এনালিস্ট নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া যুগান্তরকে বলেন, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালক সেবার মান বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

নতুন একাধিক অফিস স্থাপনের সিদ্ধান্ত এর মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া পাসপোর্ট কল সেন্টার স্থাপন, তথ্য সংশোধনসংক্রান্ত জটিলতায় (বেসিক চেকস) আটকে থাকা আবেদন নিষ্পত্তি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ফলে পাসপোর্ট সেবার মান আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। এই ধারা চালু থাকলে সামনের দিনগুলোতে পাসপোর্ট সেবা নিয়ে জনগণের অভিযোগ অনেকটাই কমে আসবে।

পাসপোর্ট অফিস .

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম