বাংলাদেশকে গোদ রোগমুক্ত ঘোষণা ডব্লিউএইচও’র
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে অবহেলিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ (এনটিডি) অবসানের প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশে লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস (গোদ রোগ) নির্মূল ঘোষণা করেছে। এটি মশাবাহিত এমন একটি রোগ, যা আক্রান্ত ব্যক্তির ওপর সামাজিক প্রভাব ছাড়াও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক পরিচালক ডা. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, তিনি এই অঞ্চলে অবহেলিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ (এনটিডি) নির্মূলকে প্রধান কর্মসূচি হিসাবে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছিলেন। ফাইলেরিয়াসিস নির্মূলে বাংলাদেশের অর্জন প্রশংসনীয়। শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি, স্বাস্থ্য বিভাগ ও অংশীদারদের প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে। মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ডের পর বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের চতুর্থ দেশ হিসাবে লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল করেছে।
লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস এলিফ্যান্টিয়াসিস নামেও পরিচিত। সাধারণত ফাইলেরিয়াল প্যারাসাইট মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। রোগটির সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস বাংলাদেশের একটি প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা ছিল। বাংলাদেশে লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূলে ২০০১ সালে জাতীয় কর্মসূচি চালু হয়। ওই সময় ১৯টি জেলায় রোগটিকে আঞ্চলকি সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ২০০১ এবং ২০১৫ সালের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে রোগটি নির্মূলে সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ব্যাপক প্রচারণা চালায়। পাশাপাশি ২০১১ এবং ২০২১ সালের মধ্যে প্রশিক্ষিত কর্মী দিয়ে পদ্ধতিগত এবং উচ্চমানের সংক্রমণ মূল্যায়ন জরিপ করা হয়। এ সময় ডাটাবেজ ব্যবহার করে ৩১ হাজারের বেশি রোগীকে নিজেদের যত্ন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। রোগের অবস্থা নির্ণয় এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিশেষ কিট সরবরাহ করা হয়।
