Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

বাংলাদেশ ব্যাংকে ড. আতিউর

মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতি সংকোচনের পরামর্শ

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রিজার্ভ থেকে ডলার দিয়ে নিত্যপণ্য আমদানি চালু রাখতে হবে * প্রবৃদ্ধির চেয়ে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা জরুরি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতিকে আরও সংকোচন করতে হবে। এ পদক্ষেপ নিলে আগামীতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ফল পাওয়া যেতে পারে। আর নিত্যপণ্য ও জ্বালানি আমদানির জন্য ডলার সহায়তা সতর্কতার সঙ্গে দিয়ে যেতে হবে। মানুষকে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে নিত্যপণ্য আমদানি ঠিক রাখতে হবে। একই সঙ্গে মনোযোগ দিতে হবে অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকে। সরকারকে এমন পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান ও সাবেক সিনিয়র অর্থ সচিব মো. তারেক।

দেশের অর্থনীতির চলমান সংকট সমাধানে অর্থনীতিবিদ ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে শুরু করেছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার আলোচনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যান এই দুই অর্থনীতিবিদ। সেখানে তারা এই পরামর্শ দেন বলে জানা গেছে। সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে অর্থনীতির নানা সূচক, নীতি উদ্যোগ ও তার প্রভাব নিয়ে একটি উপস্থাপনা দেন প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান। সংকট কাটাতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, উপস্থাপনায় সেগুলো তুলে ধরা হয়। ড. আতিউর রহমান সেখানে বলেন, প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি কৃষি ও এসএমই খাতে আরও বেশি ঋণ সরবরাহের ওপর জোর দেন। বিশেষ করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। বড় উদ্যোক্তাদের ঋণ ফেরত দেওয়ার অনীহার কথা তুলে ধরে তিনি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দিকে বেশি করে অর্থ প্রবাহের পরামর্শ দেন। কেননা, তিনি মনে করেন আর্থিক অন্তর্ভুক্তি আর্থিক স্থিতিশীলতার পাটাতন তৈরি করে।

বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ খানিকটা কমলেও সার্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নিত্যব্যবহার্য পণ্য ও জ্বালানি আমদানির জন্য ডলার সহায়তা সতর্কতার সঙ্গে দিয়ে যেতে পরামর্শ দেন।

সভায় আরও জানানো হয়, জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। এই মুহূর্তে স্বল্পমেয়াদি উদ্যোগ এখনই শুরু করতে হবে। তবে বড় সংস্কার কার্যক্রমগুলো নির্বাচনের পর নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া খেলাপি ঋণ কমানোর পরামর্শও দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয় খেলাপি ঋণের চাপ থেকে অর্থনীতিকে মুক্ত করতে হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে অর্থনীতিবিদ ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া শুরু হয় ২১ সেপ্টেম্বর থেকে। প্রথম দিন অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের পরামর্শ নেওয়া হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্য বৈঠকগুলো ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম