দেশে সরকার আছে বলে টের পাই না: মুজিবুল হক চুন্নু
সংসদ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ভারতীয় রপ্তানিকারকরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন-এই সংবাদে বাংলাদেশে পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকা হয়ে গেছে। দেশে কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে, সরকার আছে বলে আমরা টের পাই না। বুধবার জাতীয় সংসদে ‘ফিন্যান্স কোম্পানি বিল-২০২৩’ পাশের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তার পেছনে বসা কয়েকজন সরকারদলীয় সংসদ-সদস্য হাসি দেন। জবাবে চুন্নু বলেন, ‘আহা করেন... বাজারে যান না, পেঁয়াজ কত করে দেখেন, আহা করেন। এই আহা বাহা হয়ে যাবে।’
সরকারদলীয় সংসদ-সদস্যরা মাইক ছাড়া কথা বললে চুন্নু বলেন, ‘ভাই, ডিস্টার্ব করেন! ডিস্টার্ব কইরেন না বাস্তবতায় আসেন।’
তিনি বলেন, ‘ফিন্যান্স কোম্পানির কথা শুনলেই পিকে হালদারের কথা মনে পড়ে; যিনি এখন কলকাতায় আছেন, যিনি লিজিং কোম্পানির এমডি ছিলেন। বান্ধবীর নামে ১০০ কোটি, তিন নম্বর বান্ধবীর নামে ৫০ কোটি, স্ত্রীর নামে ১০০ কোটি, শালির নামে ৫০ কোটি, মানে শালি, বান্ধবী, স্ত্রীর নামে শত শত কোটি টাকা পাচার করেছেন ওই ব্যক্তি। আইন তো ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংক তো ছিল, তারা কি তখন ঘাস কেটেছিল? আইন করে লাভ কী?’ জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ-সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘লিজিং কোম্পানি থেকে পিকে হালদার কয়েক হাজার কোটি টাকা নিয়ে চলে গেছেন। তখনও আইন ছিল। আইন কার্যকর না হলে আইন করে লাভ হবে না।’ বিরোধী সদস্যদের জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাশ হয়। বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ফিন্যান্স কোম্পানির শেয়ার কেন্দ্রীভূত করা যাবে না। কোনো ব্যক্তি বা একই পরিবারের সদস্যরা কোনো ফিন্যান্স কোম্পানির ১৫ ভাগের বেশি শেয়ার কিনতে পারবেন না। এক পরিবার থেকে দুইজনের বেশি পরিচালক নিয়োগ করা যাবে না। বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষ অথবা একই পরিবারের সদস্যরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একক বা যৌথভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৫ ভাগের বেশি শেয়ার কিনতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তি বা তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষ-প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একক বা যৌথভাবে কোনো ফিন্যান্স কোম্পানির উল্লেখযোগ্য (কোনো ফিন্যান্স কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের শতকরা ৫ ভাগের বেশি শেয়ার) শেয়ার ধারক হলে অন্য কোনো ফিন্যান্স কোম্পানি বা ব্যাংক কোম্পানির উল্লেখযোগ্য শেয়ার ধারক হতে পারবে না। বিলে বলা হয়, কারও কাছে ১৫ শতাংশের অতিরিক্ত শেয়ার থাকলে এই আইন কার্যকর হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অতিরিক্ত শেয়ার হস্তান্তর করতে হবে। এটি না করলে অতিরিক্ত শেয়ার সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। তবে এসব বিধান সরকারি মালিকানাধীন ফিন্যান্স কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
