Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

বিজয়নগরে নির্মাণের আটত্রিশ বছরেও কাজে আসেনি সেতু

ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ

Icon

এসএম কামরুল হাসান শান্ত, বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

১৯৮৪ সালে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন ও বুধন্তী ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে হরষপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর থেকে বুধন্তী ইউনিয়নের সেমরা, মিরাশানী দিয়ে ঢাকা সিলেট হাইওয়ে রোডে ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সেই রাস্তার মাঝে ১৯৮৪ সালে প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে। ৩৮ বছর আগে নির্মিত সেই ব্রিজের সংযোগ সড়ক এখনো হয়নি। প্রতিনিয়ত হরষপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর, মেকশিমুল, শিশাউড়া, জালালপুর, নয়াহাটি, বড়চাল গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী মাধবপুর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ধর্মঘর, চৌমুহনী, বহরা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ অতিরিক্ত ২০/২২ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে ঢাকা সিলেট হাইওয়ে রোডে উঠে দৈনন্দিন কাজের প্রয়োজনে। অপরদিকে বুধন্তী ইউনিয়নের সেমরা, মিরাশানী, তালতলা, কেনা, বুধন্তী, ইসলামপুরের মানুষদের বিভিন্ন প্রয়োজনে দীর্ঘ পথ ঘুরে যেতে হয়। এক্তারপুর গ্রামের আমানুর রশিদ ভূঁইয়া নামে এক স্কুল শিক্ষক বলেন, এরশাদ সরকারের আমলে ব্রিজটি যখন নির্মাণ হয় তখন আমরা অনেক ছোট। সেই সময় মা, বাবা, চাচারা স্বপ্ন দেখাত বড় হয়ে এই রাস্তা দিয়ে তাড়াতাড়ি মেইন রোডে যেতে পারব। সেই স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এখনো কাজের প্রয়োজনে ২৮-৩০ কিলোমিটার ঘুরে ঢাকা সিলেট হাইওয়ে রোডে উঠতে হয়। ব্রিজের সংযোগ সড়কের মাধ্যমে রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে দূরত্ব কমে মাত্র ৩ কিলোমিটারের মধ্যে আমাদের ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে রোড হবে। তাতে অনেক সময়, হয়রানি ও অর্থ ব্যয় থেকে আমরা বাঁচতে পারতাম।

বুধন্তী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ সৈয়দ সাইয়িদুল ইসলাম (সৈয়দ কাজী) জানান, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে মাননীয় সংসদ-সদস্যের সহযোগিতা নিয়ে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও এলজিআরডি অধিদপ্তর যোগাযোগ করে যাচ্ছি। নতুন পরিকল্পনায় দুটি ব্রিজ নির্মাণসহ রাস্তা তৈরির প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করে টেন্ডারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম