সেমিনারে বক্তারা
বাংলা একাডেমি বানান নিয়ে সংকট তৈরি করেছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আমাদের মাতৃভাষার সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা হচ্ছে বাংলা বানান। ভাষার রীতিনীতি যাই থাকুক না কেন, সাধারণ মানুষ ভাষা এবং বানান শেখে মূলত চর্চার মাধ্যমে। আর সেখানেই সংকট থেকে গেলে সেটি থেকে উত্তরণও কঠিন হয়ে পড়ে। আর বাংলা একাডেমি সেসব প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে হিমশিম খায়। এর নমুনা ‘ইদ’, ‘গোরু’ এ দুটি বানান। বিকল্প বানান তৈরি করে, মানুষের মধ্যে দুই বানানের দ্বিধা তৈরি করেছে। বানানের সংকট তৈরি করে বাংলা একাডেমি এখন সমাধান খোঁজ করছে।
‘বাংলা বানান : বর্তমান পরিস্থিতি, ভবিষ্যৎ করণীয়’ নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব মতামত তুলে ধরেন। বুধবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে দিনব্যাপী এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মফিদুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সভাপতি অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ বলেন, বাংলা একাডেমির প্রতি মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তারাই সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোতে বাংলা অভিধান অনুযায়ী বানানরীতির ব্যবহার নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলা একাডেমি সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। বাংলা একাডেমি এখন পর্যন্ত জনসনের মতো একটি সর্বজনগ্রাহ্য অভিধানও তৈরি করতে পারেনি।
অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন বাংলা একাডেমির অভিধান ও বিশ্বকোষ উপবিভাগের কর্মকর্তা রাজীব কুমার সাহা, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক ড. এম আবদুল আলীম, প্রথম আলোর সাহিত্য সম্পাদক আলতাফ শাহনেওয়াজ, অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের উপপরিচালক স্নিগ্ধ্যা বাউল, বাংলা একাডেমির অভিধান ও বিশ্বকোষ উপবিভাগের কর্মকর্তা মতিন রায়হান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সম্পাদক ড. মো. ছাইদুর রহমান, ভাষানটেক সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. হাননান মিঞা প্রমুখ।
