সাংবাদিকদের ওপর হামলা
চিকিৎসা ব্যয় ও ভাঙা সরঞ্জামের ক্ষতিপূরণ দেবে শিল্পী সমিতি
শিবা শানু-সুশান্তদের এক মাসের জন্য বহিষ্কার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একটি মধ্যস্থতা হয়েছে। বুধবার রাতে এক বৈঠকে দুপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসার ব্যয় এবং ভেঙে ফেলা সরঞ্জামের ক্ষতিপূরণ দেবে শিল্পী সমিতি। এছাড়া এক মাসের জন্য সংগঠনটি থেকে অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্তকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তবে জয় চৌধুরীর প্রসঙ্গে সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় তাকে আজীবন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাংবাদিকেরা। একই সঙ্গে হামলার দিন ২৩ এপ্রিলকে প্রতি বছর চলচ্চিত্রের ‘কালো দিবস’ হিসাবে বিনোদন সাংবাদিকরা পালন করার সিদ্ধান্ত নেন। আজ বিকাল ৪টায় আপসনামা তদন্ত কমিটির সাংবাদিক ও শিল্পী সমিতির প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জানা গেছে, হামলার ঘটনায় ইতোপূর্বে দুঃখ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। লিখিত বক্তব্যে তারা দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন।
বৈঠকের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিক লিমন আহমেদ যুগান্তরকে জানান, বুধবার রাতে প্রযোজক আরশাদ আদনানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটির মাধ্যমে উভয় পক্ষে একটি মধ্যস্থতা হয়েছে। বৈঠকে বলা হয়, আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসার ব্যয় এবং ভেঙে ফেলা সরঞ্জামের ক্ষতিপূরণ দেবে শিল্পী সমিতি। এছাড়া এক মাসের জন্য সংগঠনটি থেকে অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্ত এবং অফিস সহকারী সুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একমাস শেষে তাদেরকে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, জয় চৌধুরীকে সবার সামনে ক্ষমা চাইতে বললে পুনরায় বাগবিতণ্ডায় জড়ানোর কারণে তাকে আজীবন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমনকি তাকে নিয়ে কেউ সিনেমা বানালে সেই ছবির খবরও প্রকাশ করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে চিত্রনায়িকা অঞ্জনা এফডিসির সমস্যার মূল কারণ হিসাবে ইউটিউবারদের দায়ী করেন। তিনি ফেসবুক পোস্টে বলেন, এফডিসিতে ইউটিউবার ও তথাকথিত নামধারী সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। বিনোদন সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাচসাস রয়েছে। সেখানে শিক্ষিত এবং মার্জিত অনেক সাংবাদিক রয়েছেন, যারা কখনোই শিল্পীকে অবান্তর প্রশ্ন করে বিভ্রান্ত করেন না।
