পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানা দাবি
আশুলিয়া নবাবগঞ্জ সাভারে কর্মবিরতি
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সাভার, দোহার-নবাবগঞ্জ ও আশুলিয়া বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারীদের দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। তাদের দাবি দাওয়ায় মধ্যে রয়েছে কারণে-অকারণে চাকরিচ্যুতি বন্ধ করা, বোনাসের নিশ্চয়তা প্রদান, কাজের সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ প্রভৃতি। যুগান্তর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কারণ-অকারণে চাকরিচ্যুত করা, বোনাসের নিশ্চয়তা, কাজের সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ, সমিতির বেশ কিছু বৈষম্য দূরীকরণসহ চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকার সাভার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একত্র হয়ে টানা দু’দিন কর্মবিরতি পালন করেছেন। মঙ্গলবার সকালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ কার্যালয়ের সামনে সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অবস্থান নিয়ে এসব তথ্য জানান সংবাদ কর্মীদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ শিমুলতলা জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. মাহবুবুর রহমান, এজিএম মাহবুবুর রহমান, মুক্তাদির, মনিরুজ্জামান, আব্দুল মোতালিব, পাওয়ার হাউজ কো-অর্ডিনেটর খোরশেদ আলম, লাইনম্যান কামাল আহম্মেদ ও লাইনম্যান জাহিদুল ইসলাম।
তারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে বৈষম্য চলে আসছে। এসব বৈষম্যের কারণে অনেককেই কথায় কথায় চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী আমাদেরকে কোন বোনাস দেওয়া হয় না। এমনকি কাজের সঠিক সময় নির্ধারণ করা হয়নি। যার ফলে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে বিভিন্ন সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।
‘বৈষম্য নিপাত যাক- পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মুক্তি পাক’ স্লোগান সামনে রেখে বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে নবাবগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করেছে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার পানালিয়ায় অবস্থিত ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন করেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সারা দেশের ন্যায় আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সদর দপ্তরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বক্তারা এ সময় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে বৈষম্য চলে আসছে। নিুমানের বৈদ্যুতিক মালামাল ক্রয়ের মাধ্যমে ভঙ্গুর বিতরণ ব্যবস্থা, অবকাঠামো নির্মাণ, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত জটিলতা, পলিসি প্রণয়নে অদক্ষতা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে গ্রাহকরা সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যে কারণে বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎব্যবস্থা সচল রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
