ঢাবির হল ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের বাকি ১৮ লাখ টাকা!

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফলো করুন |
|
---|---|
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ নেতাদের বাকির পরিমাণ ১৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা বলে দাবি করেছেন ক্যান্টিন মালিক। এর মধ্যে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন দুজনে মিলেই পৌনে ছয় লাখ টাকার মতো বাকি খেয়েছেন। শুক্রবার বিকালে এই দাবি করেন তিনি। এ সময় তিনি বাকির একটি তালিকা প্রভোস্ট অফিসে জমা দেন। বাকির এই তালিকা গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।
বাকির হিসাবে দেখা যায়, ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ বাকি খেয়েছেন তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা ও আরেক নেতা মুনেম খেয়েছেন দুই লাখ ১৬ হাজার টাকা, ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী আলী আহসান রিফাতের নামে বাকি এক লাখ ১৮ হাজার টাকা। তাছাড়া ছাত্রলীগ নেতা রবি এক লাখ ১৮ হাজার, নাহিদ ও জুয়েল এক লাখ ১৫ হাজার করে, উচ্ছল ৮৫ হাজার, হারুন ৭০ হাজার টাকা বাকি খেয়েছেন। তালিকায় মোট ৪৮ জন ছাত্রলীগ নেতা মোট ১৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকার বাকি খেয়েছেন।
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রফিক শাহরিয়ার বলেন, আমিও বিষয়টি দেখেছি কিছুক্ষণ আগে। আমার কাছে ক্যান্টিন মালিক অভিযোগ দেননি। এর আগেও আমি ক্যান্টিন ঘুরে তার খাবারের মান নিয়ে জিজ্ঞেস করেছি, তার কাছে কেউ বাকি খায় কিনা জানতে চেয়েছি। কিন্তু তিনি বরাবরই আমাকে বলেছেন তার কাছে কেউ বাকি খায় না। আমি তাকে নেতাদের নাম দিতে বলেছিলাম, তিনি দেননি।
তিনি বলেন, ক্যান্টিন মালিক আগের প্রভোস্টের কাছে কোনো অভিযোগ দিয়েছিলেন কিনা সেটাও দেখতে হবে। এত টাকা বাকি থাকার পরও তিনি কীভাবে ক্যান্টিন চালিয়েছেন সেটাও দেখার বিষয়। এটি তদন্তের বিষয়। তদন্তে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ক্যান্টিন মালিক বাবুল বলেন, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতারা আমার ক্যান্টিন থেকে নিয়মিত বাকি খেয়েছেন। আমি তাদের কিছু বলতে পারতাম না, অভিযোগ দেওয়ারও সুযোগ ছিল না। টাকা চাইলেও তারা দিতেন না, আমাকে চাপে রাখতেন। এখন তারা আমাকে পথে বসিয়ে পালিয়েছেন। আমি এর বিচার চাই, আমার টাকা ফেরত চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।