প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যুগান্তরে ২৮ আগস্ট ‘নিষেধাজ্ঞার পরও ২৯০ কোটি টাকায় ড্রেজার ক্রয় টেন্ডার’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। প্রকাশিত সংবাদ সঠিক নয় দাবি করে প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ‘৩৫ ড্রেজার ও সহায়ক জলযানসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পটি ‘ড্রেজার ও ড্রেজার সহযোগী যন্ত্রপাতি সংগ্রহ’ সংক্রান্ত প্রকল্প। এ কারণে ড্রেজার কেনার নিষেধাজ্ঞা নেই। এজন্য প্রতি বছরই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় করে বাস্তবায়ন চলমান রাখা হয়েছে। অর্থ বিভাগের নিষেধাজ্ঞা জলযান ও যানবাহনের জন্য প্রযোজ্য হলেও ড্রেজার কেনায় সম্পৃক্ত নয়। টেন্ডারে বিশেষ শর্ত যুক্তের বিষয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির নির্দেশনা অনুযায়ী দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যেখানে বিদেশি স্বনামধন্য ক্লাস ড্রেজার প্রস্তুতকারী সব প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি ড্রেজার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : টেন্ডার আহ্বানের সব কাগজপত্র যাচাই করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে সব ধরনের জলযান ক্রয়ে ৪ জুলাই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পরিপত্র জারি করেছে অর্থ বিভাগ। বিগত বছরগুলোতে ড্রেজার ক্রয়ে ‘৪১১২১০২-জলযান’ কোড থেকে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তখন অর্থ বিভাগ থেকে বিশেষ বিবেচনায় অর্থ ছাড়ের অনুমতি নেয় বিআইডব্লিউটিএ। চলতি অর্থবছরে এ ধরনের কোনো অনুমতি না নিয়েই এ টেন্ডার আহ্বান করে। আর ড্রেজার একটি জলযান। নৌপরিবহণ অধিদপ্তর থেকে জলযান হিসাবে ড্রেজারের নিবন্ধন হয়। সুতরাং এটি জলযান নয়-এমন দাবিও অসত্য। এ ছাড়া টেন্ডারে কঠিন শর্ত যুক্তের বিষয়টি প্রতিবাদপত্রে পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির নির্দেশনার কথা উল্লেখ রয়েছে। যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও ওই নির্দেশনার কথা উল্লেখ রয়েছে।
