Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

সাফল্য ধরে রেখেছে ঢাকার সেরা কলেজগুলো

ক্যাম্পাসগুলোতে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে বরাবরের মতো সাফল্য ধরে রেখেছে ঢাকার সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। পাশের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও অন্যদের চেয়ে এগিয়ে এরা। এর নেপথ্যে রয়েছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ত্রিমুখী প্রচেষ্টা। তবে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেয়েরা লেখাপড়ায় বেশি সিরিয়াস। তাদের বাইরে মনোযোগ কম। এদিকে ফলাফল প্রকাশের পর ক্যাম্পাসে আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। খুশিতে সহপাঠীরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন, আনন্দের মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে তুলেছেন ছবি-সেলফি। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উল্লাসে যোগ দেন শিক্ষকরাও। সন্তানদের ফলাফলে আনন্দে আপ্লুত অভিভাবকরাও। রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে এমন চিত্র মিলেছে।

নটর ডেম কলেজ : দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম নটর ডেম কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এবার ৩ হাজার ২৬৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৩ হাজার ২৬৩ জন পাশ করেছেন। পাশের হার ৯৯.৯৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৬১৮ জন। বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৪০, ব্যবসা শিক্ষায় ৩৭৬ এবং মানবিক বিভাগে ২০২ জন।

ভিকারুননিসা : রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এইচএসসি পরীক্ষায় এবার পাশের হার ৯৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৭৩৭ জন। বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৪৬৩ জন, মানবিকে ১৫১ ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১২৩ জন। কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম বলেন, কোনো একটা ফ্যামিলিতে যদি কেউ নিহত হয় তাহলে তার প্রভাব সেই পরীক্ষার্থীর ওপর পড়ে। পরীক্ষার মধ্যে আন্দোলনে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে, নিহত হয়েছে, শিক্ষার্থীরা একটা ট্রমার মধ্যে ছিল। এই ট্রমা থেকে বের হয়ে আবার পরীক্ষায় বসা ওদের জন্য অনেকখানি কঠিন ছিল। তবুও আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী রেজাল্ট পেয়েছি। জান্নাতুল ইসলাম ছোঁয়া নামের শিক্ষার্থী জানান, তিনিও জিপিএ-৫ পেয়েছেন। পড়াশোনা শেষ করে ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দিতে চান। রাজনীতি করতে চান কী না? জানতে চাইলে বলেন, না। যে রাজনীতিতে আদর্শ থাকবে না, সেদিকে নজর রাখতে চান না। তবে এটা তিনি চান, দেশের রাজনীতিতে মেধাবী মানুষ আসুক। এর কোনো বিকল্প নেই।

আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ৯২ শতাংশ জিপিএ-৫ : দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ২২৬ জন শিক্ষার্থী। যা মোট পরীক্ষার্থীর ৯২ শতাংশ। অংশ নেওয়া ২ হাজার ৪১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ পাশ। ফলাফলে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতেছেন শিক্ষার্থীরা। সন্তোষজনক ফলাফলে তাদের সঙ্গে উৎসবে মেতেছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরাও। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার পর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে জানান কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম নওরোজ এহসান। সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস রূপ নেয় বাঁধভাঙা জোয়ারে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষকরাও শরিক হন সেই আনন্দে। কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, গত বছরের চেয়ে জিপিএ-৫ বেড়েছে। এটি অবশ্যই খুশির সংবাদ। এর শতভাগ কৃতিত্ব শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি আমাদের কলেজের শিক্ষক এবং অভিভাবকদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এটি সম্ভব হয়েছে। এ সফলতার জন্য কলেজের মূলমন্ত্র শিক্ষা-শৃঙ্খলা-নৈতিকতা। শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান প্রান্তী বলেন, আমার ১২ বছর ধরে অনেক কষ্টে পাওয়া সাফল্য। আমার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছি এখন কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়েছি। সামনের দিনগুলোতে এই সাফল্য ধরে রাখতে চাই।

মাইলস্টোন কলেজে শতভাগ পাশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার : এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাইলস্টোন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। এ বছর এ কলেজ থেকে বাংলা মাধ্যম ও ইংরেজি ভার্সনে ৩ হাজার ১০৭ জন ছাত্রছাত্রী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। পাশের হার শতভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার ৬৪.৩৭ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ ১ হাজার ৯৫২, ব্যবসা শিক্ষায় ৩২ এবং মানবিক বিভাগে ১৬ জন। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম বলেন, প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকরা এই সাফল্যের দাবিদার। কলেজ প্রশাসনের সঠিক তদারকি, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রম, ছাত্রছাত্রীদের একাগ্রতা এবং অভিভাবকদের সহযোগিতায় ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল আসছে। তিনি বলেন, আমরা ছাত্রছাত্রীদের জন্য গুণগতমানের শিক্ষা নিশ্চিত করি। নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা ও সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা হয়। এটা ভালো ফলাফল অর্জনের প্রধান নিয়ামক। উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে অধ্যক্ষ আশা প্রকাশ করেন, তারা যেন ভবিষ্যৎ জীবনে আরও সফল হন এবং দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন।

ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ : রাজধানীর মাতুয়াইলের ঐতিহ্যবাহী ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ এবারও সাফল্য ধরে রেখেছে। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ২ হাজার ৭৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। পাশের হার শতভাগ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৭৬৫ জন। যা মোট পরীক্ষার্থীর ৬৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৫৭২ জন, ব্যবসা শিক্ষায় ১৬৫ ও মানবিক বিভাগে ২৮ জন। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন বলেন, এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে-সুদক্ষ পরিচালনা, নিয়মিত পাঠদান ও তদারকি, শিক্ষকমণ্ডলীর আন্তরিকতা এবং শিক্ষার্থীদের গভীর অধ্যবসায়। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যাপারে আমরা আপসহীন। কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী ক্রমাগত খারাপ করলে তা অভিভাবকদের জানানো হয়। জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থী গালিব হাসান বলেন, এই প্রাপ্তি আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ অর্জন। বাবা মায়ের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। নিরলস চেষ্টার জন্য স্যারদের কাছে কৃতজ্ঞ। অভিভাবক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমার সন্তানের সাফল্যের মূল কারিগর এই প্রতিষ্ঠান। সন্তান কলেজে অনুপস্থিত থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হতো।

সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ : সাফল্য ধরে রেখেছে রাজধানীর ডেমরার ঐতিহ্যবাহী সামসুল হক খাঁন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এবার অংশ নেওয়া ১ হাজার ১২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ পাশ। এর মধ্যে ৮১২ জন এ প্লাস পেয়েছেন। বিভাগভিত্তিক হিসেবে বিজ্ঞানে এ-প্লাস পেয়েছে ৬৮৮, ব্যবসা শিক্ষা ৬৭ এবং মানবিক বিভাগে ৫৭ জন। সরেজমিন দেখা গেছে ফলাফল প্রকাশের পর বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতেছিল শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা যুগান্তরকে বলেন, পরীক্ষার ফলাফলে এই প্রতিষ্ঠানের অর্জন ঈর্ষণীয়। কেবল বোর্ড পরীক্ষা নয় কাঙ্ক্ষিত উচ্চ শিক্ষা অধ্যয়নের সুযোগ লাভেও আমাদের কলেজ শাখা এগিয়ে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল, বুয়েট ও ঢাবিসহ খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৭৪ জন ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজে এ প্রতিষ্ঠানের ৫১ জন, সরকারি ডেন্টালে ৭ জন, বুয়েট, রুয়েট, চুয়েট ও কুয়েটে ১৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

মতিঝিল আইডিয়াল : রাজধানীর স্বনামধন্য মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর ১ হাজার ৬০৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন ১ হাজার ৫৭৪ জন। পাশের হার ৯৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৮০ জন, যা মোট পাশের ৪৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। বিভাগভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিজ্ঞান বিভাগে ৯৫৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন ৯৩৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৫৯ জন, যা বিজ্ঞান বিভাগের মোট শিক্ষার্থীর ৭০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। মানবিক বিভাগে ২৭৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন ২৬৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৪ ও ব্যবসা শিক্ষায় বিভাগে ৩৭৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮৭ জন।

ঢাকা কলেজ : ঢাকার সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ঢাকা কলেজ অন্যতম। এবার এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৪৮ জন পাশ করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯৬৬ জন। পাশের হার ৯৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৯১ জন, মানবিকে ৭৫ ও ব্যবসা শিক্ষায় ১০০ জন।

মনিপুর : রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। এ বছর এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৩১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। পাশের হার ৯৭ দশমিক ২৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৭ জন।

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ : ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে এবার ৯৬১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮৬৮ জন এ-প্লাস পেয়েছেন। অর্থাৎ এ-প্লাস পাওয়ার হার ৯০ দশমিক ৩২ শতাংশ। সব পরীক্ষার্থী পাশ করেছে।

সিদ্ধেশ্বরী কলেজ : এবারও ভালো ফলাফল করেছে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কলেজ। পাশের হার ৮৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ৬৬২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন ৫৭৫ জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০ জন।

লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ : প্রতিষ্ঠানটিতে এবার ৬০৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। পাশ করেছেন ৫৯৫ জন। এর মধ্যে এ-প্লাস পেয়েছেন ১১৪ এবং অকৃতকার্য হয়েছেন ১৪ জন। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে এ-প্লাস ৯৪, মানবিকে ১৪ ও ব্যবসা শিক্ষায় ৬ জন এ-প্লাস পেয়েছেন।

আদর্শ মহিলা কলেজ : রাজধানীর আগারগাঁও আদর্শ মহিলা কলেজ থেকে ১২৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭৭ জন পাশ করেছেন। ৫২ জন এ-প্লাস পেয়েছেন। কলেজের উপাধ্যক্ষ আলী আহসান খান যুগান্তরকে বলেন, এ বছরের ব্যাচটি দুর্বল থাকায় ভালো ফল লাভ করতে পারেনি।

তেজগাঁও মহিলা কলেজ : তেজগাঁও মহিলা কলেজে এবার ২১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন ১৭৯ জন। জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ২ জন ও অকৃতকার্য হয়েছেন ৩২ শিক্ষার্থী। কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আমাদের রেজাল্ট মোটামুটি ভালো হয়েছে। পাশের হার ৮৫ শতাংশ।

পুরান ঢাকা : পুরান ঢাকার কলেজগুলোতে এবার ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জিত হয়েছে। কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ, সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সেন্ট গ্রেগরি কলেজ, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কে এল জুবিলি কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাঁধভাঙা খুশির জোয়ারে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে অভিভাবক ও শিক্ষকরাও শরিক হন সে আনন্দে। কবি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হাবিবুর রহমান জানান, তাদের ১ হাজার ৬০৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পাশের সংখ্যা ১ হাজার ৪৯৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২২৩ জন।

আবুজর গিফারী কলেজ : এবার পাশের হারে তলানিতে আবু জর গিফারী কলেজ। প্রতিষ্ঠানটিতে পাশের হার ৬৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মোট শিক্ষার্থী ছিল ১৮৯ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ১২০ জন। জিপিএ-৫ পায়নি কেউ। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. বশির আহমেদ বলেন, আমরা এই ফলাফলে মোটেও সন্তুষ্ট নই। আগামীতে ভালো ফলাফলের জন্য নতুন পদক্ষেপ নেবো।

ঢাকা সিটি কলেজের গৌরবোজ্জ্বল সাফল্য : এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এবারও গৌরবোজ্জ্বল সাফল্য দেখিয়েছে ঢাকা সিটি কলেজ। এ কলেজের পাশের হার ৯৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ। পরীক্ষার্থী ছিল ৩৪৬০ জন, এর মধ্যে পাশ করেছে ৩৪৪৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭৯৭ জন শিক্ষার্থী। অকৃতকার্য হয়েছে ১৫ জন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক কাজী নিয়ামুল হক যুগান্তরকে বলেন, এবারের এইচএসসির ফলাফল খুব ভালো হয়েছে, আমরা খুশি। আমরা চাই, বাংলাদেশের সেরা হতে, এক নম্বর হতে। আগামীতে আরও ভালো করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম