Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

পুলিশ হেফাজতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগীর মৃত্যু

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সেকেন্ড ইন-কমান্ড এজাজ বিন আলম ওরফে ফাহিম (৩৪) পুলিশ হেফাজতে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার বিকালে মৃত্যুর পর ইমন বাহিনীর সদস্য এবং নিহতের স্বজনরা হাসপাতাল থেকে জোর করে লাশ নিয়ে যায়। পরে রাতেই ধানমন্ডি এলাকা থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।

জানা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ওরফে ইমনের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হেজাজ ওরফে এজাজ বিন আলম ওরফে ফাহিম ১০ মার্চ রাতে রাজধানীর জিগাতলার টালি অফিস রোড থেকে আটক করে যৌথবাহিনী। পরদিন তাকে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ডাকাতির প্রস্তুতির একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠায়। এজাজ আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পায়। জামিনে ছাড়া পেয়ে এজাজ ধানমন্ডির জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়। এজাজের বাবা শাহ আলম খান দাবি করেন, তার ছেলেকে মারধর করার ফলে সে মারা যেতে পারে। তবে তিনি জানান, এজাজ আগে থেকেই কিডনির রোগী ছিল। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার জানান, এজাজকে হেফাজতে নেওয়ার সময় সে অসুস্থ ছিল। সে কিডনির সমস্যায় ভুগছিল। সে হাসপাতালে মারা গেলে স্বজনরা লাশ জোর করে নিয়ে যান। পরে আমরা বুঝিয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসি।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, এজাজ অসুস্থ ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে ঢামেক হাসপাতালে মারা যায়। তার লাশ স্বজনরা বিনা অনুমতিতে নিয়ে গিয়েছিল। পরে উদ্ধার করে আবার ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকে রাখা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এজাজের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। হাজারীবাগ, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি ও কলাবাগান এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড নামে পরিচিত। সম্প্রতি মোহাম্মদপুর ও হাজারীবাগের বেড়িবাঁধ এলাকায় প্রকাশ্যে চাপাতি বাহিনী ও দখলবাজি করার সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর মধ্যে একটি বড় গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় এজাজ। জানা গেছে, এজাজ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ধানমন্ডির ১৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম