বাংলাদেশে তিনটি বড় হাসপাতাল করবে চীন
জুলাইয়ের ৬০ যোদ্ধাকে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশে তিনটি বড় হাসপাতাল নির্মাণ করবে চীন। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নীলফামারীতে হাসপাতালগুলো নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে উপহার হিসাবে হাসপাতালগুলোয় অর্থায়ন করবে চীন। এগুলো নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। রোববার রাজধানীর বেইলি রোডের ‘ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল খায়ের, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) পরিচালক ডা. মো. আবুল কেনান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জানানো হয়, জুলাই যোদ্ধারা হেলথ কার্ড দেখিয়ে সারা দেশের সব হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, চীনের অর্থায়নে চট্টগ্রামে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট পরিচালিত হচ্ছে। আমরা চীনের রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলাম একটি রোবোটিক ফিজিওথেরাপি সেন্টার উপহার হিসাবে দিতে। শুধু আন্দোলনে আহতদের জন্য না, ভবিষ্যতেও দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য এটি কাজে লাগবে। চীন আমাদের কথা রেখেছে-একটি সেন্টার উপহার হিসাবে দিয়েছে। সেন্টার প্রতিস্থাপনের যন্ত্রপাতি বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে আছে। সেন্টারটি স্থাপন করতে ৬ হাজার বর্গফুটের মতো জায়গা লাগবে। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাবেক বিএসএমএমইউ) জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে আহতরা সেখানে ফিজিওথেরাপি নিতে পারবেন। এজন্য আমরা একটি দলকে প্রশিক্ষণ দেব। ব্যাংকক থেকে বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসবে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ৪০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য আরও ৬০ জনকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে আহত আটজনকে ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। ২১ জনকে তুরস্কে ও ৩১ জনকে পাকিস্তানে পাঠানো হবে।
রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারের ধামরাইয়ে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এটি হবে চিকিৎসা পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় আহতদের সেবা দেওয়া হবে। উত্তরাঞ্চলের জেলা নীলফামারীতে ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এ লক্ষ্যে ১৬ একরের মতো জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে। এটার দেখভাল করছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এছাড়া চট্টগ্রামে ৫০০ থেকে ৭০০ শয্যার একটি হাসপাতাল তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। চূড়ান্ত হয়নি।
