বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টারে আগুন
এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে ১৮ জন উদ্ধার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজধানীর বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টারের বেজমেন্টে সোমবার আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় ভবনের ছাদ থেকে ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন লাগার পরে ভবনের দুই তলার গ্লাস ভেঙে লাফ দেন কয়েকজন। তাদের মধ্যে দুজনের পায়ে আঘাত লাগে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ৭টা ৪৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এটি ‘মিস অকুপেন্ট বিল্ডিং’ (একই ভবনে এ শপিংমল, রেস্টুরেন্ট ও বাসাবাড়ি) বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
আগুন লাগার পর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে লেলিহান শিখা। জীবন বাঁচাতে অনেকে ভবনের ছাদে আশ্রয় নেন। উৎসুক জনতার ভিড়ে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের। জনতাকে সরাতে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী কাজ করে। ভবন এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে তারা। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া শাখার সহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান শিকদার যুগান্তরকে জানান, রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নেভানো সম্ভব হয়। বেইজমেন্টে লাগা আগুন ছড়াতে দেওয়া হয়নি। এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। ভয়ে ভবনের ছাদে ওঠা ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টারের ১৫ তলা ভবনের নিচের দিকটা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার হতো। সেখানে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে। রয়েছে শপিংমল। উপরের তলাগুলো আবাসিক হিসাবে ব্যবহার হয়। সেখানে যারা ছিলেন তাদের ক্রেন দিয়ে নিচে নিয়ে আসা হয়। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ধোঁয়া ও উৎসুক জনতার জন্য উদ্ধারকাজ বিলম্ব হয়েছে। এ ভবনটির কোনো এক্সিট সিঁড়ি নেই। আগুন লাগার পর আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকে মানুষ। এরই মধ্যে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। ভবনটির রেস্টুরেন্টে থাকা অনেকে জীবন বাঁচাতে দ্রুত ছাদে উঠে পড়েন। পরে তাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
আগুন নেভানোর পর সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপা. ও মেইন.) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা খবর পেয়ে পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে এখানে পৌঁছেছি। ভবনের মধ্যে থাকা ৩৫ জনকে সেভ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এটি ‘মিস অকুপেন্ট বিল্ডিং’ অর্থাৎ এখানে শপিংমল, রেস্টুরেন্ট, অফিস ও আবাসিক ফ্ল্যাট ছিল। আগুনের সূত্রপাত বেজমেন্ট থেকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেনারেটর রুমে বেশি আগুন দেখা গেছে। হয়তো সেখান থেকে শর্ট সার্কিট হতে পারে অথবা অন্য কিছুর সমস্যা হতে পারে, তদন্ত করে এটি জানতে হবে। অতিরিক্ত ধোঁয়ার ফলে শুরুতে আমাদের কাজ করতে বেগ পেতে হয়েছে। বিল্ডিংয়ের ফায়ার সেফটি প্ল্যান আছে কিনা, কার্যকরিতা সনদ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।
