কালাকানুন ও অভিন্ন নিয়োগবিধির প্রতিবাদে উত্তাল সচিবালয়
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে ১৯৭৯ সালের বিশেষ বিধান সংযোজন এবং সচিবালয়ের ভেতরে ও মাঠ প্রশাসনে কর্মরত নন ক্যাডার কর্মচারীদের জন্য অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে সচিবালয়। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের এক ক্যান্টিনে সচিবালয়ে কর্মরত নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব সংগঠনের নেতারা এক মঞ্চে একত্রিত হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওই উদ্যোগের বিরুদ্ধে সভা করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির। এ সময় পরিষদের কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম, মহাসচিব নিজামূল হক, কো-মহাসচিব মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, প্রধান উপদেষ্টা তোয়াহা মিয়া, সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম, সম্পাদক মুজিবুর রহমান এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী রোববারের মধ্যে সরকারি চাকরি আইনের সংশোধন করে বিশেষ বিধান সংযোজন এবং সচিবালয়ের ভেতরে এবং নন ক্যাডার কর্মচারীদের জন্য অভিন্ন নীতিমালা থেকে সরে না আসলে তারা কঠোর কর্মসূচি দেবেন। দাবি না মানা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এছাড়া তারা সচিবালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের চার দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। বিশেষ করে মহার্ঘ ভাতা এবং নতুন পে কমিশন ঘোষণার দাবি জানান। দাবি না মানলে আগামী সোমবার থেকে তারা লাগাতার কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান।
কর্মচারী নেতারা বলেন, সরকার আমাদের ৮ দিনের মধ্যে চাকরি দিতে পারেনি। তাই ৮ দিনে চাকরি খাওয়ার কোনো অধিকার সরকারের নেই। একইভাবে তারা সচিবালয় এবং সচিবালয়ের বাহিরে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নের সমালোচনা করে বলেন, কোনোভাবেই এ ধরনের অবাস্তব নিয়োগবিধি মেনে নেওয়া হবে না।
সভা চলা অবস্থায় খবর আসে অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। এ সংক্রান্ত পূর্ব নির্ধারিত পর্যালোচনা কমিটির সভা আগামী ১৩ মে আর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি ও এপিডি অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের দুজন কর্মকর্তা বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন।
