জুলাইয়ে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে জেনোসাইড হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জুলাই গণহত্যা প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়। মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানার সই করা এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে এমনটা দাবি করা হয়েছে। বিবৃতিটি চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এদিন তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন।
ওই পোস্টের কিছু আগে তাজুল ইসলাম তার ফেসবুকে আরও একটি লেখা পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ম্যাস মার্ডার অর্থ হত্যাযজ্ঞ/গণহত্যা। জেনোসাইড মূলত ‘জাতিগত নির্মূল’ (এথনিক ক্লিনজিং) অর্থে গণহত্যা। জুলাইয়ে বাংলাদেশে হত্যাযজ্ঞ (ম্যাস মার্ডার) হয়েছে, জেনোসাইড হয়নি। আর চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। তারা (গণমাধ্যম) বলেছে, চিফ প্রসিকিউটর জুলাইয়ে গণহত্যা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন। এ ধরনের সংবাদ স্পষ্টতই চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্যের বিকৃতি ও অপপ্রচার।
চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয় সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। সেখানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে জানানো হয়। সেই প্রতিবেদনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় গণহত্যা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন।
মঙ্গলবারের প্রতিবাদ ও বিবৃতিতে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয় আরও বলেছে, চিফ প্রসিকিউটর নিজেই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, জুলাইয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক এবং পদ্ধতিগত হত্যাযজ্ঞ বা ম্যাস মার্ডার সংঘটিত হয়েছে, যা বাংলায় সাধারণভাবে গণহত্যা বলা হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী জেনোসাইড হচ্ছে জাতিগত নির্মূল (এথনিক ক্লিনজিং) অর্থে গণহত্যা।
তবে তিনি (চিফ প্রসিকিউটর) এ ঘটনার জন্য ‘জেনোসাইড’-এর (জেনোসাইড বা জাতি/গোষ্ঠীনিধন) অভিযোগ আনেননি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বরং অভিযোগ এনেছেন ‘ক্রাইম অ্যাগেইনস্ট হিউম্যানিটি’ বা ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসাবে, যার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ব্যাপক ও পদ্ধতিগত গণহত্যা। আইনের যথাযথ অর্থ না জেনে বা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধও করা হয়েছে বিবৃতিতে।
