Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

টাকা চুরিতে ধরা পড়ে দুই খালাকে হত্যা

খালাতো বোনের জামা পরে পালায় কিশোর

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শেওড়াপাড়ায় দুই খালাকে হত্যার ঘটনায় আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে ১৪ বছর বয়সি কিশোর ঘাতক। সে জানিয়েছে, পুরোনো বাইসাইকেল কিনতে বড় খালা মরিয়ম বেগমের কাছে ৩ হাজার টাকা চেয়েছিল। তিনি টাকা দিতে রাজি হননি। এতে এক সুযোগে সে মরিয়ম বেগমের ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে ৩ হাজার টাকা চুরির চেষ্টা করে। চুরির বিষয়টি দেখে ফেলার জেরেই সে দুই খালাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এরপর খালাতো বোনের জামা-কাপড় পরে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায় স্বীকার করে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয় ওই কিশোর। এরপর আদালতের নির্দেশে গাজীপুরে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।

গত ৯ মে রাতে মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়ার শামীম সরণির একটি বাসা থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র সাবেক কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম ও তার বোন সুফিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। এই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে। এতে দেখা যায়, ওইদিন বিকাল তিনটার দিকে নীল রঙের জিন্স প্যান্ট ও গাঢ় নীল রঙের শার্ট পরা এক কিশোর ওই বাড়ির দুতলায় ওঠে। তার মাথায় ছিল সার্জিক্যাল মাস্ক ও মাথায় ছিল লাল রঙের ক্যাপ। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পরনের কাপড় পালটে ওই কিশোর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ওই কিশোরকে শনাক্ত করে ১১ মে রাতে ঝালকাঠি থেকে ওই কিশোরকে আটক করে ডিবি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করে। কিশোর আদালতকে জানায়, টাকা চুরির ঘটনায় বকাঝকা ও মাকে ফোন করে বলে দেওয়ার হুমকির ক্ষোভ থেকেই সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

এদিকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঝালকাঠি থেকে ওই কিশোরকে আটক করা হয়। পরে তার দেখানো মতে যাত্রাবাড়ীর ইস্টার্ন শপিং সেন্টারের পাশের সুয়ারেজ লাইনের ওপর থেকে রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়।

তার বাসার সামনের একট নির্মাণাধীন বিল্ডিং থেকে তার জুতাও উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, ওই কিশোর মোবাইলে আসক্ত ছিল।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম