Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

চাঁদা না পেয়ে নির্মাণাধীন ভবন মালিককে কুপিয়ে জখম

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার দক্ষিণ মানিকদী এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদা না পেয়ে বাড়ির মালিককে মারধর ও কুপিয়ে গুরুতর জখমের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী মালিকের নাম তাজউদ্দিন ভূঁইয়া। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টায় এ ঘটনা ঘটে। আহত তাজ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করেন। ভবনের কেয়ারটেকার কুদ্দুস মিয়া বলেন, রাশেদ-মাসুদরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ভবন মালিকের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নির্মাণ শ্রমিকদের মারধর, ভবনে হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রাশেদ লুঙ্গি পরে হাতে ধারালো ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। তাজউদ্দিনের মাথায় কয়েক জায়গায় গুরুতর জখম হয়েছে।

আহত তাজউদ্দিনের ভাই রেজাউল করিমের অভিযোগ, অভিযুক্তদের চাঁদা না দেওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে তার ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় রাশেদ, মাসুদ, নজরুল ইসলাম, জমির আলী, রনি ওরফে টিকটিকি রনি, মেজবাহ, হাসিব, নাজমাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৭ জনকে অভিযুক্ত করে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলার আবেদন করেছেন তার আরেক ভাই সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাশেদ ও মাসুদ দুই ভাই। তারাসহ অন্য অভিযুক্তরা মানিকদির মাটিকাটা এলাকায় জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত। তারা একটি সিন্ডিকেট করে কেউ বাড়ি নির্মাণ করলেই চাঁদা দাবি করেন। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও কুপিয়ে জখম করে।

অভিযোগের বিষয়ে রাশেদ জানান, নির্মাণাধীন ভবনে সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই কাজ চলছে। এর প্রতিবাদ করেছি। এতে তারা আমার মামাতো ভাইকে মেরেছে। ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, মারামারির ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় এসেছে। ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) তারেক মাহমুদ বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম