Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

মার্কিন পালটা শুল্ক প্রসঙ্গে ড. দেবপ্রিয়

ভয় নয়-সুযোগ হিসাবে নিন

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মার্কিন প্রশাসনের রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ প্লান বা পারস্পরিক শুল্ক আরোপ নিয়ে বাংলাদেশের ভয়ের কিছু নেই। কারণ পালটা শুল্কের চাপ বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওসের মতো দেশগুলোর ওপরও পড়বে। রপ্তানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জগুলোকে নীতিকাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে এই সমস্যাকে সম্ভাবনা হিসাবে কাজে লাগানো যেতে পারে ।

শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এই মন্তব্য করেন। যৌথভাবে ‘যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশের কর্ম-পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ডিসিসিআই ও গবেষণা সংস্থা বিল্ড।

ট্রাম্প প্রশাসনের পারস্পরিক শুল্ককে বিষাক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থা মন্তব্য করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, শুল্কারোপের পেছনে অর্থনৈতিক যৌক্তিকতা নেই। এটি অর্থনীতির মূল তত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। উচ্চ শুল্কের কারণে বিনিয়োগ বাড়ে না, মূল্যস্ফীতি হয়। যে লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক আরোপ করেছেন, সেই কাজ হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। অর্থাৎ এটি কার্যকর হবে না। কারণ বাজারের নৈতিক চরিত্র এটিকে সমর্থন করে না। দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির ওপর ভিত্তি করে শুল্ক বসানো হলে পরের বছর যদি ঘাটতি আরও বাড়ে, তাহলে কী আবারও শুল্ক হার বদলানো হবে?

তিনি বলেন, শুল্কারোপের হিসাব নিয়েও যথেষ্ট আলোচনার সুযোগ আছে। কারণ বাণিজ্য ঘাটতির ওপর নির্ভর করে শুল্ক হার বসানো হয়েছে। কিন্তু সেবা খাতের হিসাব আমলে নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেবা আমদানিকারক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেবা খাতের আমদানির যুক্তি আমরা সেভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি। এটি আমাদের নেগোসিয়েশনের বড় জায়গা হতে পারে।

ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-বাংলাদেশের (আইসিসি-বি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান।

গবেষণা সংস্থা বিল্ডের চেয়ারপারসন আবুল কাসেম খান বলেন, পারস্পরিক শুল্কের প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবতা যাচাই, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণে পর্যাপ্ত নীতি সহায়তা নিশ্চিত করা, নতুন বাজার সম্প্রসারণে রোডম্যাপ প্রণয়ন, আসিয়ানের সদস্যভুক্তির জন্য বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়ানো, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজীকরণে সরকারি সহায়তার দীর্ঘসূত্রতা হ্রাস, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া উচিত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, যুক্তারাষ্ট্র হতে পণ্য আমদানি বাড়িয়ে দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ আগ্রহী এবং এ লক্ষ্যে দ্বি-পাক্ষিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র হতে তুলা আমদানির জন্য বাংলাদেশে ওয়্যারহাউজ স্থাপন, দীর্ঘমেয়াদে এলএনজি আমদানির চুক্তি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যকার ১ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য বাড়বে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম