Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে প্রাণরক্ষায় সাবেক স্পিকার, ডেপুটিস্পিকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ ৬২৬ জনকে দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়। আশ্রয় দেওয়া ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর অবস্থান তুলে ধরা হয়।

আইএসপিআর জানায়, আশ্রয় দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন-২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার পরিজনসহ (স্ত্রী ও শিশু) সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয়েছিল। সেসময়ে শুধুমাত্র মানবিক দায়বদ্ধতার কারণে আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে আশ্রয় প্রার্থীদের জীবন রক্ষা করাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। পরিস্থিতি উন্নয়ন সাপেক্ষে, আশ্রয় গ্রহণকারীদের বেশিরভাগই এক দুই দিনের মধ্যেই সেনানিবাস ত্যাগ করেন এবং এর মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ/মামলার ভিত্তিতে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সেনানিবাসে অবস্থানকারী ও আশ্রয় প্রার্থীদের ব্যাপারে ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট আইএসপিআর আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। একই দিন ১৯৩ জন ব্যক্তির একটি তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্য ব্যতীত) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যা ছিল একটি মীমাংসিত বিষয়।

আইএসপিআর জানায়, তৎকালীন নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে আশ্রয় প্রার্থীদের জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু স্বার্থান্বেষীমহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয় গ্রহণকারী ৬২৬ ব্যক্তিবর্গের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্যসহ) প্রকাশ করা হয়েছে। তাই সবাইকে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি পেশাদারত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সঙ্গে জাতির পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।

আশ্রয় প্রাপ্তদের তালিকা : জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক আইসিটিমন্ত্রী; হাবিবুর রহমান, তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার; সায়েদুল হক সুমন, তৎকালীন এমপি; শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক স্পিকার; তানভীর হাসান সৈকত, তৎকালীন জেনারেল সেক্রেটারি, বিএসএল (ডিইউ ইউনিট); চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, তৎকালীন আইজিপি; হারুন অর রশিদ তৎকালীন ডিজি র‌্যাব; নাজমা আকতার, তৎকালীন এমপি; খন্দকার লুৎফুল কবির, তৎকালীন অতিরিক্ত আইজিপি; আমেনা বেগম, তৎকালীন ডিআইজি; সামসুল হক টুকু, সাবেক ডেপুটি স্পিকার; ছোট মনির, তৎকালীন এমপি; আমিনুল, তৎকালীন ডিআইজি (এডমিন); প্রলয় কুমার জোয়ারদার, তৎকালীন অতিরিক্ত ডিআইজি; ইকবালুর রহিম, তৎকালীন এমপি; মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি/এসবি চিফ; ওবায়দুল হাসান, সাবেক প্রধান বিচারপতি; এম এনায়েতুর রহিম, সাবেক বিচারপতি; শাজাহান খান, তৎকালীন এমপি; মো. আসাদুজ্জামান তৎকালীন ডিআইজি, চিফ সিটিটিসি; আজিম, তৎকালীন ডিজি, তেজগাঁও ডিভিশন পুলিশ; রাগিবুল আহসান রিপু, তৎকালীন এমপি, বগুড়া-৬; এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন, তৎকালীন এমপি, বগুড়া-৪; সাইফুল ইসলাম, তৎকালীন ডিসি, বগুড়া; জাকির হাসান, তৎকালীন এসপি, বগুড়া; মুহসিয়া তাবাসসুম, ইউএনও, শাহজাহানপুর; কাজী মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা জজ, বগুড়া, মো. আল আমিন, অতিরিক্ত জেলা জজ, বগুড়া; তোফায়েল ইসলাম, তৎকালীন ডিভিশনাল কমিশনার; সাইফুল ইসলাম, তৎকালীন সিএমপি, কমিশনার; নুর ই আলম মিনা, ডিআইজি, পুলিশ; অং যাই মারমা, ইউএনও, রাউজান; মো. রিয়াদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি), রাউজান; এমএ লতিফ, তৎকালীন এমপি; মো. মাহফুজুর রহমান, ওসি, পতেঙ্গা থানা; সুমন, এএসআই, হালিশহর থানা; শাহাদর, এএসআই, হালিশহর থানা; সাদেব, এএসআই, হালিশহর থানা; খন্দকার মাসফুকুর রহমান, তৎকালীন ডিসি, কুমিল্লা; সাইদুল ইসলাম, তৎকালীন এসপি, কুমিল্লা; খাইরুল আলম, অতিরিক্ত ডিআইজি, হাইওয়ে পুলিশ; মো. কুরাইশি, এএল মেম্বার; মো. মাহবুব আলম, তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান, মাদারগঞ্জ; আব্দুল মঈন তৎকালীন ভিসি, কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি; আসিফ, ইন্সপেক্টর; রিপন, এএসআই; ইদ্রিস, নায়েক; সুদিপ্তা, এএসআই; সুশ্ময়, এএসআই; আবুল কাওছার, এএসআই; লিটন চাকমা, এএসআই; আজিজ, এএসআই; সঞ্জয়, ওসি; মামুনুর রশিদ, ইউএনও, ভূঞাপুর; ফাহিমা বিনতে, এসি (ভূমি), ভূঞাপুর; তাহেরুল ইসলাম, এএল মেম্বার; কাজী নাবিল আহমেদ, সাবেক এমপি; সুজন সাত্তার, পিএস টু এমপি; লুৎফর, ড্রাইভার, দেলোয়ার, ড্রাইভার; আবরাউল হাসান, তৎকালীন ডিসি, যশোর; মাসুদ আলম, তৎকালীন এসপি, যশোর; মাহমুদ হাসান, তৎকালীন ডিসি, খুলনা ইউনিভর্সিটি; হোসনে আরা, তৎকালীন প্রো-ভিসি, খুলনা ইউনিভর্সিটি; তালুকদার আবদুল খালেক, তৎকালীন মেয়র, খুলনা সিটি করপোরেশন; হাবিবুন নাহার, তৎকালীন এমপি, বাগেরহাট-৪; এসএম রফিউদ্দিন আহমেদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, এসএম ফয়সাল আহমেদ রানা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর; সাইফুল ইসলাম, সভাপতি খুলনা মেট্টো, এএল; মো. কামাল হোসেন, ডিজিএম পল্লী বিদ্যুৎ; খলিলুর রহমান মোল্ল্যা, প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন অফিসার, মিঠামইন; মামুন মজুমদার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা; মো. এরশাদ মিয়া, ইউএনও, মিঠামইন; মো. সোয়াইব সাভ-ইল ইভান, এসি (ভূমি) মিঠামইন; তারিকুল আলম, ভারপ্রাপ্ত ইউএনও, ইটনা; শরিফ কামাল, তৎকালীন চেয়ারম্যান, মিঠামইন উপজেলা; মো. ইকরামুল হক টিটু, তৎকালীন মেয়র, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন; মমতাজ পারভীন, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, ময়মনসিংহ; ড. হুমায়ুন কবির, তৎকালীন ভিসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; ড. তানজিমা ইয়াসমিন, প্রফেসর, আরইউ; ড. গোলাম সাব্বির, প্রফেসর; বাধন, তৎকালীন ডিসি, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ; আনিসুর রহমান তৎকালীন ডিআইজি পুলিশ, রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশ; সাইফুল, এসপি; বিপ্লব, তৎকালীন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার; রাকিব, এসপি; ওমর ফারুক, তৎকালীন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার; এটিএম মাইনুল ইসলাম, তৎকালীন অতিঃ পুলিশ কমিশনার; হুমায়ুন কবির, ওসি, বোয়ালিয়া থানা; ফিরোজ, নায়েক, পুলিশ; আল মামুন, নায়েক, পুলিশ; তৌহিদ, নায়েক, পুলিশ; জিয়াউর রহমান বিপ্লব, কাউন্সিলর, বরিশাল সিটি করপোরেশন; বাতেন, তৎকালীন ডিআইজি; মো. তৌহিদুল ইসলাম, ইউএনও, গোয়াইনঘাট, সিলেট; মো. সায়েদুল ইসলাম, এসি (ল্যান্ড), গোয়াইনঘাট, সিলেট; সাহিদুর রহমান, সার্কেল এএসপি, গোয়াইনঘাট; মো. রফিকুল ইসলাম, ওসি, গোয়াইনঘাট থানা; মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, তৎকালীন মেয়র, সিলেট সিটি করপোরেশন; মো. আবু জাহির, তৎকালীন এমপি, হবিগঞ্জ-৩; মো. আজ বাহার আলী, তৎকালীন পুলিশ কমিশনার, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ; মো. জাকির হোসাইন খান, তৎকালীন ডিআইজি, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ; মো. জুবায়েদ হোসেন, অতিঃ কমিশনার; আবু আহমেদ সিদ্দিক, ডিভিশনাল কমিশনার সিলেট; মাহফুজুর রহমান, ডিসি, সিলেট ট্রাফিক পুলিশ; মো. জামাল উদ্দিন ভূইয়া, ভিসি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; মো. আলাউদ্দিন আহমেদ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; মো. আব্দুল আওয়াল, অতিঃ পরীক্ষক কন্ট্রোলার, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; মো. আব্দুল রাকিব, সিকিউরিটি অফিসার, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; ডিডি মো. তানভির আহমেদ খান, এনএসআই; হুমায়ুন কবির, এসআই; জাহাঙ্গীর, এসআই; মিজানুর রহমান, এএসআই; হারুন, এসআই; মো. হারুন অর রশিদ, এসআই; সোহেল আহম্মেদ, নায়েক; মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, ইন্সপেক্টর; রাসেল মোল্লা, ইন্সপেক্টর; নুরুল ইসলাম, নায়েক; মো. গোলাম রাব্বানী, এএসআই; মো. কাউছার, নায়েক; মো. মশিউর রহমান, ইন্সপেক্টর; মো. সাইদুল ইসলাম, এএসআই; শওকত হোসেন, ইন্সপেক্টর; বিকাশ মজুমদার, এএসআই; মাসুদ রানা, এএসআই; শফিকুর রহমান, এসআই; মো. ফয়েজ উল্লাহ, এএসআই; শশধর সরকার, এএসআই; মো. এনায়েত হোসেন, এএসআই; তন্ময় সাহা, এসআই; সাজিদ আলম, সার্জেন্ট; আজহারুল ইসলাম, এএসআই; গিয়াস উদ্দিন, এএসআই; শাহ আলম, এসআই; সালাহউদ্দিন খান, এটিএসআই; মো. মনিরুজ্জামান, এসআই; মো. আশ্রাফুল আলম, এএসআই; মো. খাইরুল ইসলাম, এএসআই; আবু সালেহ আহম্মেদ, এএসআই; শংকর চন্দ্র, নায়েক; মো. ওবাইদুল ইসলাম, এএসআই; মো. মিজানুর রহমান, এসআই; মো. জাকির হোসেন, এসআই; নীলোৎপল সরকার, সার্জেন্ট; শেখ মহিউদ্দিন, এটিএসআই; মো. হাবিবুর রহমান, নায়েক; আনোয়ার হোসাইন, এএসআই; আব্দুল্লাহেল বাকী, এএসআই; জিয়াউল ইসলাম, নায়েক; তানভীর, এএসআই; মো. সাহাবুদ্দিন, এএসআই; মো. জাকারিয়া, এএসআই; এটিএসআই লিয়াকত আলী, এসআই; শুভ মন্ডল, এএসআই; সুমন গাইন, এএসআই; অজয় কুমার বিশ্বাস, এএসআই; মো. আনোয়ারুল সাদাত, এএসআই; মো. মফিজুর রহমান, সার্জেন্ট।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম