রাজনীতিকদের অভিমত
মানবিক করিডর স্থাপনে প্রয়োজন জাতীয় ঐকমত্য
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মানবিক করিডর স্থাপনের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন। কোনো বিশেষ দেশের একক পরিচালনায় নয়, বরং জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সংস্থার তত্ত্বাবধানে করিডর পরিচালিত হলে সেটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। এ বিষয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।
শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ভূ-রাজনৈতিক নিরাপত্তা : প্রেক্ষিত মানবিক করিডর’ বিষয়ক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যানালাইসিস এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ঘোষণার পরও নতুন করে প্রবেশ করেছে। করিডর নিয়ে অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। এমন সিদ্ধান্তে এই সরকারের যাওয়া দরকার ছিল না। এই সরকারের মূল কাজ ছিল নির্বাচন দেওয়া। বিচার ও সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন বিলম্বের সুযোগ নেই। বিএনপি একা নয়, অনেক দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। মানবিক করিডর প্রসঙ্গে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আর একটা রোহিঙ্গাকেও আমরা চাই না। করিডর নিয়ে কাজ করলে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতে হবে। গোপনে নয়, এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। আলোচনা সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের এজেন্ডার বাইরে। এমন তৎপরতা বন্ধ করুন। এটি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। অনেক জায়গাতেই মানবিক করিডর সামরিক করিডরে পর্যবসিত হয়েছে।এছাড়া গাজায় মানবিক করিডরের নামে হত্যাযজ্ঞের চিত্র সামনে আসায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ-সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনি। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু মানবিক করিডর কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শুধু একটি দল নয়, অনেক দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। তাড়াতাড়ি ভালো নির্বাচন করলেই নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
