Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

রাজধানীর কুরবানি হাট

শেডভর্তি পশু বৃষ্টিতে দুর্ভোগ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীর কুরবানির হাটের শেডগুলো (যেখানে গরু বেঁধে রাখা হয়) পশুতে ভরে উঠেছে। তবে বৃষ্টির কারণে রোববার সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হয় পশু ও ব্যবসায়ীরা। গাবতলী হাটে দেখা মিলেছে উটেরও।

রোববার সরেজমিন গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটের বর্ধিতাংশে পশু রাখার শেড তৈরির কাজ চলছে। বালু ফেলে বাঁশের খুঁটি দিয়ে নতুন নতুন শেড বানানো হচ্ছে। বেশির ভাগ শেড ফাঁকা।

রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাড়িতে করে গাবতলীতে পশু নিয়ে আসছেন ব্যাপারীরা। মিরপুর ও আশপাশ এলাকার ক্রেতারা হাটে আসছেন, পশু দেখছেন এবং দামাদামিও করছেন। এ হাটে গরু ও ছাগলের পাশাপাশি উটও পাওয়া যায়। মিরপুরের বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আমজাদ ব্যাপারী ১৫ মন ওজনের একটি উট এনেছেন। তিনি এটির দাম চাইছেন ২৮ লাখ টাকা। লোকজন উট দেখতে ভিড় করছেন। অনেকে সেলফি তুলছেন। আমজাদ ব্যাপারী জানান, গাবতলী হাটের ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবছর তিনি হাটে উট নিয়ে আসেন। এবার ১টি উট এনেছেন। এটির দাম চাইছেন ২৮ লাখ টাকা। ২৭ লাখ পেলেও বিক্রি করে দেবেন। এই উট বিক্রি হলে তিনি আরও উট আনবেন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার ব্যাপারী আবুল খায়ের ১২টি বড় সাইজের গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। গরুগুলো গড়ে ১২ মন ওজনের। তিনি বলেন, গরুগুলো ২-৩ বছর লালনপালন করে বড় করেছেন। আকারভেদে দাম পড়বে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা। যাত্রাবাড়ী প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসংলগ্ন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনিরআখড়া দনিয়া কলেজ মাঠ কুরবানির অস্থায়ী পশুর হাট প্রস্তুত। দেশের নানা প্রান্ত থেকে খামারি ও ব্যাপারীরা গরু-ছাগল নিয়ে একের পর এক ট্রাকে করে হাটে পশু আনছেন। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। ভেজা পথে পশুবাহী যানবাহন থেকে শুরু করে হাট পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রাখাল ও গরুর মালিকরা। বৃষ্টি আর কাদা-পানির মধ্যে পশু নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন তারা। রোববার বিকালে দনিয়া কলেজ মাঠ (শনিরআখড়া) হাট ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রাকবোঝাই পশু নিয়ে আসছেন খামারিরা। পশু দেখা, দরদাম করার দৃশ্য দেখা দিলেও কেনাবেচা দেখা যায়নি। তারা শুধু পশুর দাম যাচাই করছেন। পশুর দাম-দর করছেন এমন একজন নজির আহমেদ বলেন, কুরবানির ঈদের এখনো বেশ কয়েকদিন বাকি। তাই এখনই গরু কিনছি না। বাজার ঘুরে দেখতে এবং যাচাই-বাছাই করতে এসেছি।

কুষ্টিয়া থেকে গরু নিয়ে আসা খামারি রহিম বলেন, শনিবার ৩০টি গরু হাটে এনেছি। বৈরী আবহাওয়ায় দুদিন পশু নিয়ে হাটে থাকা-খাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে।

হাজারীবাগ প্রতিনিধি জানান, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী কুরবানির পশুর হাট হাজারীবাগে দেশি গরু আনাগোনা শুরু হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে মাঝারি থেকে বড় আকৃতির গরু। তবে বৃষ্টির লাগাতার দাপটে এখনো জমে ওঠেনি বেচাকেনা। সরেজমিন দেখা যায়, লেদার ইনস্টিটিউট কলেজসংলগ্ন সড়ক, বেড়িবাঁধ, বউবাজার, কালুনগর, হাজারীবাগ কাঁচাবাজার, ঢাকা ট্যানারি মোড়, ম্যাটাডোর ফ্যাক্টরিসংলগ্ন এলাকা ও শিকদার মেডিকেল পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় গরুর অস্থায়ী শেড গড়ে উঠেছে। গরু রাখার জন্য বাঁশ, ত্রিপল ও দড়ি দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে শেড। তবে রোববার পর্যন্ত হাটের বেশির ভাগ জায়গা গরুতে ভরে ওঠে।

হাজারীবাগ ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজির পাঁচ নম্বর গেট সংলগ্ন হাটের এক নম্বর গেট দিয়ে ভেতরে ঢোকার ডান পাশের অংশ নির্ধারণ করা হয়েছে ছাগল-ভেড়ার জন্য। হাজারীবাগ বিডিআর গেট ও আশপাশের খলিল সরদার মসজিদ, কাঁচাবাজার রোড, হাজারীবাগ পুরান থানা রোডসহ অলিগলিতেও ছড়িয়ে পড়ছে হাট। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ছাউনি ও হাসিল ঘর।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম