ফরেন রিলেশন্স কমিটিতে পল কাপুর
ইন্দো-প্যাসিফিকে স্থিতিশীলতায় ৫ দেশ গুরুত্বপূর্ণ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, নেপাল, মালদ্বীপ ও ভুটান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন রিলেশন্স কমিটিতে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে মনোনীত এস পল কাপুর। মঙ্গলবার ফরেন রিলেশন্স কমিটির শুনানির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় এস পল সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনা, এ অঞ্চলে চীনের আধিপত্য, আফগানিস্তান সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি জšে§ছি নয়াদিল্লিতে একজন ভারতীয় পিতা ও একজন আমেরিকান মাতার ঘরে। শৈশবে আমি প্রায়ই ভারত ভ্রমণ করতাম। তবে আমি বড় হয়েছি যুক্তরাষ্ট্রে একজন সম্পূর্ণ আমেরিকান শিশু হিসাবে। কখনো ভাবিনি আমার কর্মজীবন একদিন আমাকে জন্মভূমিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘নিয়োগ নিশ্চিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই দেশগুলোর সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে কাজ করব। এর ফলে নিরাপত্তা জোরদার হবে। চীনের প্রভাবের পালটা ভারসাম্য তৈরি হবে এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণ ঘটবে।’
পাকিস্তান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এমন নিরাপত্তা সহযোগিতা অনুসরণ করব, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে সহায়ক হবে এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্ভাবনা খুঁজে দেখা হবে।’ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রসঙ্গে এস পল বলেন, ‘সম্প্র্রতি দক্ষিণ এশিয়া একটি ভয়াবহ সংঘাত এড়িয়ে গেছে। এই সংঘাত থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমার নিয়োগ নিশ্চিত হলে আমি ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা স্বার্থ বজায় রাখতে, শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রচারে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে কাজ করে যাব।’ শুনানিতে মনোনীত ব্যক্তিরা তাদের যার যার অবস্থান থেকে কমিটির কাছে তুলে ধরেন। এস পল কাপুর তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমি সম্মানের সঙ্গে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মনোনীত ব্যক্তি হিসাবে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে। প্রেসিডেন্ট যে আমার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আমাকে এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন, তার জন্য আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আমি আমার পরিবার ও বন্ধুদের অব্যাহত সমর্থনের জন্যও কৃতজ্ঞ। এদের অনেকেই এখানে আমার পেছনে বসে আছেন-আমার স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনজন। বাকিরা আত্মিকভাবে আমাদের সঙ্গে যুক্ত আছেন-আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়ে আমার এক ধরনের পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসার অনুভূতি হচ্ছে।’ এরপরই জন্মস্থান নয়াদিল্লির প্রসঙ্গ টানেন এস পল।
