Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

চুরির অভিযোগ

সোনারগাঁয়ে দুই যুবককে অমানুষিক নির্যাতন

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চুরির দায়ে দুই যুবকের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছেন এক ইউপি সদস্য ও তার সহযোগী। শনিবার বিকালে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মসলেন্দপুর গ্রামে বারদী মসলেন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। দুই যুবককে পুলিশের হাতে না দিয়ে নিজেরাই পাইপ দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগীরা হলেন-মসলেন্দপুর গ্রামের নবী হোসেনের ছেলে আল আমিন ও একই গ্রামের জামান মিয়ার ছেলে পারভেজ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বারদী ইউনিয়নের মসলেন্দপুরে এভারগ্রীন কিন্ডারগার্টেন নামের একটি স্কুল থেকে ৯ জুন রাতে ৯টি ফ্যান ও একটি বৈদ্যুতিক মোটর চুরি হয়। আড়াইহাজার উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকায় শনিবার দুপুরে সেগুলো বিক্রি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে আল আমিন ও পারভেজ। এ সময় তাদের গণধোলাই দেয় এলাকাবাসী। বিকালে মসলেন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সালিশের আয়োজন করা হয়। সেখানে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ওমর ফারুকসহ শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দুই যুবককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়। ওমর ফারুক ও মসলেন্দপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদ প্লাস্টিকের পানির পাইপ দিয়ে তাদের প্রায় অর্ধশতাধিক আঘাত করে। একপর্যায়ে ওমর ফারুক ওই দুই যুবককে গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে।

ইউপি সদস্য ওমর ফারুক যুগান্তরকে বলেন, নানা অপরাধে তাদের বিচার করতে করতে আমি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তারা আমার নিকটত্মীয় হওয়ায় আমি বিচার সালিশে এমনভাবে শাসন করেছি। বিচার সালিশে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশে দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সোনারগাঁ শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান মামুন বলেন, ভিডিওতে যা দেখলাম, মানুষ এভাবে মারতে পারে না। পেছনে হাত বেঁধে দুই ব্যক্তি যেভাবে একের পর এক আঘাত করছেন তা অমানবিক। তারা যদি অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে পারতেন।

সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, চুরির দায়ে দুই যুবককে হাত বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম