Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল: ড. ওয়াহিদ উদ্দিন

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তো একটা ট্যাগ (রাজনৈতিক পরিচয়) থাকেই। হয় সাদা দল, না হয় নীল বা অন্য কিছু। তবে আমি উপাচার্য নিয়োগের জন্য যাদের কাছ থেকে তালিকা সংগ্রহ করেছিলাম, তাদের কিছু মানদণ্ডের কথা বলে দিয়েছিলাম। এক্ষেত্রে শিক্ষকের সাইটেশন সংখ্যা, সততা, দক্ষতা প্রভৃতি বিষয় দেখার পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও মানদণ্ড ঠিক করে দিয়েছিলাম। এখানে আওয়ামী লীগ তো হওয়া যাবে না, কাজেই মৃদু বিএনপি হওয়া যাবে, অথবা নিষ্ক্রিয় বিএনপি হওয়া যাবে। উপাচার্য নিয়োগ দিতে গিয়ে যোগ্য লোক খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়েছিল।

শনিবার রাজধানীর এক হোটেলে ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন আরও বলেন, যেহেতু ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে সেহেতু বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবেই এমন কোনো কথা নেই। প্রস্তাবিত বাজেটে ইচ্ছা করেই দুই একটি জায়গায় আমরা রেখেছি এমন- যাতে অন্তত আলোচনার কিছু সুযোগ থাকে। একটি হলো কালোটাকা নিয়ে তো অন্তত বেশ আলোচনা হলো এবং আমাদের এই সরকারের তো আর কোনো দল নেই, কিছু নেই। সব কিছুই হলো সমর্থন এবং নৈতিকতা। এটাই তো আমাদের ভিত্তি। কাজেই কালোটাকা রাখা হয়েছে এবং এটা যে থাকবে এমন তো কোনো কথা নেই। তবে আমি এখানে নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে না পারলেও এটুকু বলতে পারি ওটাকে অপ্রদর্শিত টাকা আয় হিসাবে দেখিয়ে উচ্চতম যেই যেই করের হার তার সঙ্গে অন্তত আবার ৫ শতাংশ জরিমানা তো যোগ করা উচিত। পেনাল্টি সেরকমভাবে যদি রাখা যায় তাহলেও রাখা যেতে পারে।

সভার আয়োজন করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র?্যাপিড)। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মঞ্জুর হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, র‌্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. এমএ রাজ্জাক এবং র‌্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক ড. এম আবু ইউসূফ। অতিথি ছিলেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি রুবানা হক।

ড. ওয়াহিদ উদ্দিন আরও বলেন, নির্দলীয় সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা, সবচেয়ে অসুবিধা হচ্ছে এতগুলো পদ খালি রয়েছে, কিন্তু এই পদে আমি কাকে নিয়োগ দেব, তা খুঁজে পাই না। কারণ, রাজনৈতিক দল না হওয়ায় আমরা লোকজন বেশি চিনি না।

তিনি আরও বলেন, আমি শিক্ষা উপদেষ্টা থাকার সময় আমার একজন বন্ধু এবং শিক্ষাজীবনে আমার রুমমেট মির্জা ফখরুল ইসলামের (বিএনপির মহাসচিব) কথা মনে পড়ছে। তাকে বলেছিলাম, তুমি দলীয় বিবেচনা বাদ দিয়ে বন্ধু হিসাবে তোমার পরিচিতদের কাছ থেকে শিক্ষা খাত ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগের জন্য কিছু সৎ লোকের তালিকা দাও। তোমরা আগে সরকার চালিয়েছ, তোমাদের দল আছে, লোক আছে। আমাকে কিছু সৎ মানুষের তালিকা দিতে পারো? তার (ফখরুল) জবাব, আমাদের (বিএনপি) কেউ গত ১৫ বছরে তো উঠতেই পারেনি। কাজেই সে দুর্নীতিবাজ হবে, কি দক্ষ হবে, আমি বুঝব কী করে। মির্জা ফখরুল বন্ধু হিসাবে বন্ধুর মতোই বলেছে। সে সমস্যাটা বুঝতে পেরেছে। কিন্তু তার দলের (বিএনপি) পক্ষ থেকে আমাকে তালিকা দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, যখন আমরা বিদায় নেব, তখন আমরা কী কী করে যাচ্ছি, আমি তার একটি তালিকা করে যেতে চাই। যাতে সবাই আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারে। প্রচারণার জন্য নয়, বরং পরবর্তী সরকারের জন্য এটা যেন উদাহরণ হিসাবে থাকে এবং এর থেকে বিচ্যুতি হলে তা যেন অন্তত সবার চোখে পড়ে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম