Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

হাসিনার পক্ষে আইনজীবী

রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর মানদণ্ড থাকতে হবে: টবি ক্যাডম্যান

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ উপদেষ্টা টবি ক্যাডম্যান বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর ক্ষেত্রে মানদণ্ড থাকতে হবে। যাতে তিনি যথাযথ ও স্বাধীনভাবে ট্রাইব্যুনালের সামনে আসামির প্রতিনিধিত্ব করেন। শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি আদালত অবমাননার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ‘স্টেট ডিফেন্স কাউন্সেল (রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী)’ হিসেবে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আমিনুল গনিকে (টিটু) নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ উঠেছে, আমিনুল গনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়েছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টবি ক্যাডম্যান বলেন, ‘কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে, এটি আদালতের বিষয়, প্রসিকিউশনের নয়। অবশ্যই এক্ষেত্রে মানদণ্ড থাকতে হবে। বিচারকদের মানদণ্ডের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে, এটা তাদের দায়িত্ব। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে; যাতে তিনি ট্রাইব্যুনালের সামনে যথাযথ ও স্বাধীনভাবে আসামির প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন।’

আপনি কি মনে করেন, তিনি (আমিনুল গনি) এই পদের জন্য যথার্থ? এ প্রশ্নের জবাবে টবি ক্যাডম্যান বলেন, ‘আমি কী মনে করি, সেটি বিষয় নয়। এটি বিচারকদের বিষয়। যদি কোনো আসামি রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়ে সন্তুষ্ট না থাকেন, তাহলে ট্রাইব্যুনালের কাছে বিষয়টি তাকে উত্থাপন করতে হবে।’

যদি কোনো আসামি পলাতক থাকেন, তাহলে তিনি কীভাবে নিজের অসন্তুষ্টির কথা ট্রাইব্যুনালকে জানাবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ক্যাডম্যান বলেন, ‘এখানে দুটি বিষয়। প্রথমত, কোনো আসামি ট্রাইব্যুনালে আসতে চান না, কিন্তু তার অধিকার রক্ষায় আইনজীবী নিয়োগ দিতে চান, সেটি একটি বিষয়। আবার যদি কোনো আসামি বিচার প্রক্রিয়া বর্জন করেন, তখন বিচারকদের দায়িত্ব থাকে সেই আসামির অধিকার রক্ষায়, যাতে তিনি ন্যায়বিচার পান। তখন আসামির অধিকার রক্ষায় যোগ্য আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি বিচারকদের বিবেচ্য হয়ে দাঁড়ায়।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম