বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে উদ্দেশ করে বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, ইতিহাস সবাইকে প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়। ইশরাক যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, তার জবাবে উপদেষ্টা লেখেন, ‘অকারণে আমার ছবিতে জুতা মারার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?’

উপদেষ্টা আরও লেখেন, ‘গুজবকে কেন্দ্র করে আমার বাবাকে ‘চালচোর’ বলে স্লোগান দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে? শুরুতেই সরকারপক্ষ থেকে সমাধানের চেষ্টা যারা দম্ভভরে প্রত্যাখ্যান করে ভোগান্তির জন্য দায়ী, তারা ক্ষমা চেয়েছে? নগর ভবন বন্ধ করে এক কোটির বেশি সেবাভোগীদের কষ্ট দেওয়ার জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে? নগর ভবন দখলকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ এবং আহত হওয়ার ঘটনায় কেউ ক্ষমা চেয়েছে? ইশরাক হোসেনের বক্তব্য অনুযায়ী উপদেষ্টা পরিষদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের জন্য আমাকে বারবার ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ, আমার পরিবারকে আক্রমণ, জবাই করার স্লোগান দেওয়াসহ অব্যাহত মানহানির জন্য কেউ ক্ষমা চেয়েছে?’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসাবে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে দুই মাসেরও বেশি সময় বিক্ষোভ করছেন তার সমর্থকরা। সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগরভবনে সংঘর্ষে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যাওয়ার পর আসিফ মাহমুদকে দায়ী করে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান ইশরাক। উপদেষ্টা আসিফ আরও লেখেন, ‘আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ, আমি বলেছি, কয়েকজন নেতার প্ররোচনায় এই আন্দোলন হয়েছে। আমি সত্যি বলেছি এবং সত্যি যে বলেছি, এটা তিনিও জানেন। তাকে যে ট্র্যাপে ফেলা হয়েছে, ফর অ্যা বেটার নেগোসিয়েশন ব্যবহার করা হয়েছে, তা তিনি ভালো করেই জানেন এবং আমার পরিচিত একাধিক ব্যক্তির কাছে স্বীকারও করেছেন। এত নোংরামি করার পরও গত দেড় মাসে একবারের জন্যও ‘ভদ্রতার লাইন’ অতিক্রম করেননি জানিয়ে আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘একবারও ব্যক্তিগত আক্রমণ কিংবা ছোট করে কথা বলিনি। আমার লড়াই, রাজপথ, রাজনৈতিক পথচলা কিংবা পরিবার- কেউই আমাকে এই শিক্ষা দেয়নি। আমি ধৈর্য ধরেছি, জবাব দিইনি বলে যে এসব অন্যায়-জবাবহীন থেকে যাবে এমনটা না। ইতিহাস সবাইকেই যার যার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়।’