ই-কমার্সের নামে প্রতারণা ও অর্থ পাচার
ধামাকা শপিংয়ের ৬২ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিংয়ের ৬২ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রাহকের ১১৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা এই সম্পদ ক্রোক করা হয়। বৃহস্পতিবার সিআইডির মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ১৬ জুন সিআইডির আর্থিক অপরাধ ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার আল মামুনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই ক্রোকাদেশ দেন।
সিআইডি জানায়, ক্রোককৃত সম্পদের মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জসীম উদ্দিন চিশতীর বনানী মডেল টাউনে ৫ কাঠা জমিতে থাকা বহুতল ভবন, যার বাজারমূল্য ৫০ কোটি টাকা। এছাড়া মাইক্রো ট্রেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের নামে গাজীপুরের কাশিমপুরে ৪১ শতাংশ জমি, যার আনুমানিক মূল্য ১২ কোটি টাকা।
সংস্থাটি বলছে, ধামাকা শপিং নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি অবৈধভাবে ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের ছত্রছায়ায় পরিচালিত হচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানটি স্বল্পমূল্যে পণ্য সরবরাহের প্রলোভন দেখিয়ে হাজার হাজার গ্রাহক ও সেলারদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ধামাকা শপিং-এর নিজস্ব কোনো ব্যাংক হিসাব না থাকলেও তারা ইনভেরিয়েন্ট টেলিকমের ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে লেনদেন পরিচালনা করত। সাউথইস্ট ব্যাংকের একটি হিসাব বিশ্লেষণে দেখা যায়, সেখানে ধামাকা শপিংয়ের ব্যবসা সংক্রান্ত ৫৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, অথচ ২০২১ সালের ২৭ জুন হিসাবটিতে মাত্র ৯৩ হাজার ৭৩১ টাকা স্থিতি ছিল। যা আর্থিক জালিয়াতির প্রমাণ বহন করে।
সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে, ধামাকা শপিং-এর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে আত্মসাৎকৃত অর্থ প্রতিষ্ঠানের এমডি জসীম উদ্দিন চিশতীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এমনকি মাইক্রো ট্রেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজের একাউন্টেও এসব অর্থ অবৈধভাবে হস্তান্তর করা হয়। আসামিরা বর্তমানে সবাই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তারা আত্মসাৎ করা অর্থের একটি বড় অংশ বিদেশে পাচার করেছে।
