বিএনপির সঙ্গে কানাডিয়ান হাইকমিশনারের বৈঠক
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না: আমির খসরু
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না এরকম কোনো লক্ষণ আমি দেখছি না। শুধু শুধু এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার দরকার তো নেই। আমি দেখছি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হচ্ছে। সারা দেশ নির্বাচনে নেমে পড়েছে, সারা দেশের মানুষ প্রস্তুতি নিচ্ছে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য। নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে, তারা তৈরি আছে। যে বিষয়টা হয়নি এটাকে শুধু শুধু প্রশ্নবিদ্ধ করে, আননেসেসারি আগামী নির্বাচনকে ব্যাহত করার চেষ্টা করে তো কোনো লাভ নেই।
রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু এসব কথা বলেন।
এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত সিং সাক্ষাৎ করেন। এতে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে আমির খসরু ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আমির খসরু। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দ্বিমত তো থাকবেই। যে কোনো প্রেক্ষাপটে দ্বিমত থাকবে। আপনি যখনই যেটা বলবেন, রাজনৈতিক দলের মধ্যে দ্বিমত থাকবে। এটাতে কোনো অসুবিধা নেই। দ্বিমত পোষণ করার অধিকার সবার আছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, ধর্ষণের ঘটনা সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় ঘটছে, অনেক কিছু রিপোর্ট হচ্ছে না। এটার বিরুদ্ধে সরকারকে আরও সক্ষম হতে হবে, আরও তাদের নজরদারি বাড়াতে হবে। ধর্ষণের ঘটনা রাজনীতিকরণ করে নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার সুযোগ খুঁজছে, দুর্ভাগ্যবশত তাদের সফল হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ এটাকে রাজনীতিকরণের মাধ্যমে মানুষের চোখ অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কুমিল্লায় কারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে, এটা সবাই জানে। আমি যতটুকু জেনেছি, এটা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এরকম কেউ, যেটা সোশ্যাল মিডিয়াতেও এসেছে, বিভিন্ন পত্রিকায়ও খবরটি এসেছে।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে হবে। সম্পর্ক যদি রাখতে হয়, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কটা হতে হবে পারস্পরিক সম্মানবোধের আলোকে, পরস্পরের প্রতি স্বার্থরক্ষার স্বার্থে। যেখানে কোনো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকবে না। এই বিষয়গুলো যখন নিশ্চিত করা যাবে, আমি মনে করি আমাদের সম্পর্কটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটা আরও সহজ হবে।
