Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ সর্বোচ্চ ৩শ টাকা

হাসপাতালে রোগী ভর্তি ১০ হাজার ছাড়িয়ে

জটিল আকার ধারণ করেছে বরগুনার পরিস্থিতি * সচেতনতামূলক প্রচারণা জোরদার করার সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ডেঙ্গুর ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মাত্রা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২৯ জন। যা এ বছরের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ ভর্তির রেকর্ড। এর আগে গত ২৪ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৩৯৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। নতুন রোগীদের নিয়ে এ বছর ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ২৯৬ জন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে, ডেঙ্গুর শনাক্তে চার ধরনের পরীক্ষার সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুর এনএস-১ (NS1)- পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ৫০ টাকা নেওয়া যাবে। এ ছাড়া আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। আর বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জন্য এনএস-১, আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা। এ ছাড়া সিবিসি পরীক্ষার মূল্য হবে ৪০০ টাকা। এতে বলা হয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ নির্দেশনা কার্যকর থাকবে।

নির্দেশনায় বলা হয়, কোনো অবস্থাতেই নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না। বাড়তি ফি নেওয়ার অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একই দিন আরও তিনটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বরগুনা জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্থায়ী ভিত্তিতে দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান, জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচারণা চালানো ও ওই জেলায় ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেঙ্গুজ্বর আক্রান্ত রোগীরা বিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ায় বরগুনায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে জেলার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাপক আকারে প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বরগুনা জেলায় ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬১ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৫ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১ জন এবং রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন রোগী রয়েছেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম