Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বালন

আবু সাঈদ ও ওয়াসির রক্ত বৃথা যেতে পারে না

Icon

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও ছাত্র-জনতার স্মরণে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতে জুলাইয়ের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রদল এই কর্মসূচি পালন করে। এ সময় বক্তারা আবু সাঈদ ও ওয়াসির রক্ত বৃথা যেতে পারে না বলে মন্তব্য করেন । একই সঙ্গে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার আগ পর্যন্ত ছাত্রদলের আন্দোলন চলমান থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, জুলাইয়ের প্রথম প্রহরে শহীদদের স্মরণ করার জন্য সোমবার সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে যোগ দিতে থাকেন। রাত ১২টার বাজার সঙ্গে সঙ্গেই সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এরপরই মোমবাতি ও মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে শহীদ ও আহতদের স্মরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি আসিফুজ্জামান রিপন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির প্রমুখ। তারা ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল ও মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে ছাত্রদলের প্রোগ্রামে এসে আমি যেন ৩০-৩৫ বছর পূর্বে ফিরে গেছি। কারণ আমি ছাত্রদলের সঙ্গে বহু কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি, স্লোগান দিয়েছি। আজকের এই মোমবাতি প্রজ্বালন শুধু শহীদদের স্মরণ করাই না বরং আগামীর গণতন্ত্রের জন্য আলোকের প্রজ্বালন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে মুক্তির মিনার, গণতন্ত্রের মিনার। তবে বিগত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ আমলে ঢাবি ডাকাতদের গ্রামে পরিণত হয়েছিল। ছাত্রলীগের হাতে নির্মম নির্যাতনের কারণে মারা যেতে হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পর ঢাবির আকাশে আবার মুক্তির সুবাশ।

তিনি আরও বলেন, বিগত ফ্যসিস্ট আমলে ছাত্রদলের মতো কেউ এত গুম, হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়নি।

ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানুল্লাহ আমান বলেন, জুলাই মাসের শুরুতে ছাত্রদল যে আয়োজন করেছে তাদের ধন্যবাদ জানাই। একদিনে এ আন্দোলন হয়নি। বায়ান্ন ভাষা আন্দোলন, ৬৯এর গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের স্বাধীনতা পেয়েছিলাম লক্ষ লক্ষ শহীদের মাধ্যমে। আবু সাঈদ ও ওয়াসিসহ হাজার হাজার ছাত্র-জনতার বলিদানের বিনিময়ে হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টকে সরানো সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সমানের নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতে হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। আর এই নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে এবং দেশনায়ক তারেক রহমান দেশ পরিচালনা করবে। তারেক রহমান কয়েকদিনের মধ্যে দেশে ফিরে এসে আপনাদের সঙ্গে রাজপথে যুক্ত হবে।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, জুলাইয়ের আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয় বরং এদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরাই সবার আগে শুরু করেছে। কোটা সংস্কার আন্দোল শুরু হওয়ার সেটি এক দফায় রূপ নেয়। আর সেখানে ছাত্রদল সমন্বয়ের ভূমিকা পালন করেছে। আবু সাঈদ ও ওয়াসি শহীদ হওয়ার পর তারেক রহমানের নির্দেশে রাজপথে নামে ছাত্রদল। সে জন্য ছাত্রদল হামলা, হত্যা, ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার আগ পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলমান থাকবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম