Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

জুলাই হত্যাচেষ্টা মামলা: টঙ্গীতে বিএনপি নেতাও আসামি, তীব্র নিন্দা

Icon

টঙ্গী পূর্ব (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

জুলাই হত্যাচেষ্টা মামলা: টঙ্গীতে বিএনপি নেতাও আসামি, তীব্র নিন্দা

টঙ্গীর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ।ছবি: যুগান্তর

টঙ্গীতে একটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বিএনপি নেতাকে সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ ও একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাদীকে দিয়ে এই মামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

সাজানো মামলায় হয়রানির শিকার হারুন অর রশিদ টঙ্গীর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে বহু আগে থেকেই জড়িত। বর্তমানে তিনি টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সহ-সভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সিটির ৫০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদে ছিলেন। সেই সঙ্গে বিএনপির গাজীপুর মহানগরের প্রথম কমিটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক; যে কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে হাসান উদ্দিন সরকার ও সোহরাব উদ্দিন।

হারুন অর রশিদ সারা জীবন বিএনপি করেও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মামলার আসামি হওয়ায় অবাক হয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বিএনপি ও সচেতন মহল এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

বাড্ডা থানায় জুলাইর ঘটনায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করেন এসএম নাজমুল আলম নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগপত্রে বাদীর ঠিকানা দেখানো হয়েছে নাটোরের সিংড়ার জয়নগর। আর বর্তমান ঠিকানা দেখানো হয়েছে বাড্ডার আদর্শনগর। এই মামলার আসামিদের অধিকাংশই ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। এক নম্বর আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আসামি তালিকায় রয়েছেন-ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান কামাল প্রমুখ। বাড্ডা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম মামলা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা প্রকৃতপক্ষে দোষী নন তাদের কোনো অবস্থাতেই হয়রানি করা হবে না।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টঙ্গী পাইলট স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া হত্যাসহ বেশ কিছু মামলার আসামি হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন। অধ্যক্ষ গ্রেফতার হওয়ার পর এই পদে শূন্যতা দেখা দেয়। কলেজের গভর্নিংবডি জ্যেষ্ঠতা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাসহ সার্বিক বিবেচনায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক হারুন অর রশিদকে ১৯ মে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ করেন। এরপরই একটি স্বার্থান্বেষী মহল ইর্ষান্বিত হয়ে হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে। হারুন অর রশিদের অভিযোগ, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে এই সাজানো মামলা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে কলেজটিকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ বাণিজ্য করেছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সব দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করে দিয়েছি। আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনার পাশাপাশি সবাইকে নিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার যুগান্তরকে বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু দোসর হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করছে। তিনি একজন বিএনপি নেতা পাশাপাশি আদর্শ শিক্ষক।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম