Logo
Logo
×

স্বজন সমাবেশ

স্বজন মুক্তগদ্য

ভালোবাসার চিহ্ন

Icon

কবির কাঞ্চন

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এ মুহূর্তে বসে আছি ফারুকী পার্কের ঠিক লাভ চিহ্নটির সামনে। পাশের বিশাল দীঘির সামনে বড় বড় অক্ষরের সারি ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। তাতে লেখা আছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। সারা দিন কর্মব্যস্ত সময় পার করে একটু সময় পেলেই আমি এখানে ছুটে আসি। একটু প্রশান্তির জন্য। প্রাণ ভরে শ্বাস নেওয়ার জন্য। নিজেকে উর্বর কিছু মুহূর্তের সাক্ষী করার জন্য।

সুসজ্জিত পার্কটির সবুজের সরব উপস্থিতি আমার মতো অসংখ্য প্রকৃতিপ্রেমিকে কাছে টানে। একটু পরপর বড় বড় বৃক্ষের চারিদিকে থাকা গোলচত্বরে বসে ক্লান্তি দূর করতে বড্ড ভালো লাগে। পার্কটির অন্যতম আকর্ষণ হলো নান্দনিকভাবে সজ্জিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ। এটি আমাদের দেশের সূর্যসন্তানদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে। সেদিকে চোখ পড়তেই বুকের ভেতর দেশপ্রেমের অনুভূতি জাগ্রত হয়। তাই তো দিনের কোনো না কোনো সময় আমাকে আসতে হয় লাভ চিহ্নটির কাছে।

যখন একাকী বিষণ্নতা আমাকে আঁকড়ে ধরতে চায় তখনই আমি নিজেকে প্রকৃতির সঙ্গোপনে হারাতে চাই। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আমার ভিতরের একাকিত্বের বেদনাকে ভুলিয়ে দেয়। আমাকে নতুন করে বাঁচতে উদ্বুদ্ধ করে। এরপর আনমনে ভাবতে থাকি নিজেকে আবার নতুন করে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে। আমার আমিকে বুঝার চেষ্টায় আমি নিমগ্ন হই। অদ্ভুত বিষয় হলো যে, আমি সারা দিন এ নিয়ে ওই নিয়ে তথা জাগতিক কাজকর্ম নিয়ে অন্তহীনভাবে পথ খুঁজি সেই আমিই মুহূর্তে হয়ে যাই মুক্ত বিহঙ্গ। আমার ইচ্ছারা তখন ডানা মেলে উড়তে শুরু করে। দিগন্ত থেকে দিগন্তে। উড়তে উড়তে আমি হারিয়ে যাই অসীমে। ঘড়ির কাঁটার টিকটিক আওয়াজে আমার তন্দ্রা ছুটে যায়। আবার ফিরে আসি লাভ চিহ্নটির কাছে। ততক্ষণে সেখানে ভিড় জমে গেছে। আমার মতো আরও অনেকের ভালো লাগার মতো উপলক্ষ্যে। লাভ চিহ্নটি ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম