হাওয়া বদল
আমের রাজ্যে ঘুরে এলেন সোনারগাঁয়ের স্বজনরা
দেওয়ান সামছুর রহমান
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপলক্ষ্যে প্রায় তেইশ দিনের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজশাহী যাওয়ার পরিকল্পনা সোনারগাঁয়ের স্বজনদের। ২৯ মে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রচুর বৃষ্টি। বন্ধু স্বজন দেলোয়ারের সঙ্গে আগেই দিন-তারিখ ঠিক করা হয়। সন্ধ্যার পর রওনা হয়ে স্বজন দেলোয়ার, আমি আর রকি নবীগঞ্জ ঘাটেই বৃষ্টিতে ভিজে একাকার। রাত ৯টায় বাস ছাড়ার কথা থাকলেও সেই গাড়ি ছাড়ে রাত প্রায় ১১টায়। ইতোমধ্যে স্বজন সুমন ও জনি স্যারও এসে উপস্থিত। আমরা ৫ জন হলেও বাসে প্রায় ৩৬-৩৭ জন যাত্রী। যারা বন্দর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও অন্য পেশার।
প্রচণ্ড বৃষ্টি আর যানজটে মাত্র গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পৌঁছাতেই ফজরের আজান ভেসে এলো কানে। স্থানীয় এক মসজিদে নামাজ আদায় করে বাসে উঠে বসলাম আবার। এবার বাস বেশ গতিতে টান দিল। সিরাজগঞ্জের এক হোটেলে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাশতা সারি। সকাল ১০টার আগেই আমরা পৌঁছে যাই আমের শহর রাজশাহী। রাজশাহীর বানেশ্বর এলাকায় হিমসাগরের মৌসুম চলছে। হিমসাগর বা খিরসাপাত মাত্র নামা শুরু হয়েছে। বন্দর লক্ষণখোলা স্কুলের জনি স্যারের বাড়ি রাজশাহী। তিনি আগেই বাগানে কথা বলে রেখেছেন। ফলে আমরা বাগানে ঢুকেই যে যার মতো পাকা আম খেতে শুরু করি। আমের অর্ডার করে এবং বেশ কিছুক্ষণ বাগানে ঘুরে আমরা চলে এলাম জুম্মার নামাজ আদায় করতে। নামাজ শেষে দুপুরের খাবার দাবার শেষ করে সবাই চলে গেলাম পদ্মারপাড়ে। ওখান থেকে হজরত শাহ মখদুম (রহ.) মাজার ঘুরে রাজশাহী কলেজ। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে সান্ধ্যকালীন নাশতা শেষ করে ঢাকার উদ্দেশে বাসে উঠে বসি। গ্রীন সিটি, ক্লিন সিটি রাজশাহী। শিক্ষার নগরী রাজশাহী। আর আমের রাজ্য রাজশাহী সত্যিই অপূর্ব সুন্দর মনোহর এক নগরী। দীর্ঘ দিন মনে রাখার মতো এক সফর হয়ে থাকবে এটি। সভাপতি, স্বজন সমাবেশ, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) শাখা
