Logo
Logo
×

স্বপ্নের আবাসন

কালোটাকা বন্ধ করায় আবাসনে বিনিয়োগ কমেছে

মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশিয়ান গ্রুপ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কালোটাকা বন্ধ করায় আবাসনে বিনিয়োগ কমেছে

আশিয়ান গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম। ফাইল ছবি

আবাসন খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যুগান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন আশিয়ান গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম-

যুগান্তর : আবাসন খাতের পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু বলবেন?

মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া : দেশের আবাসন খাতে চলমান স্থবিরতা উদ্বেগজনক। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি আরও নানা বিষয় রয়েছে, তাছাড়া দেশের ব্যবসায়ী, আমলা ও রাজনীতিবিদদের একটি অংশ সব সময় আবাসনে বিনিয়োগ করতেন। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে অনেক ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ আত্মগোপনে চলে গেছেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আবাসনে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ হওয়ায় বিনিয়োগও কমেছে।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ঢাকাকে বাসযোগ্য নগর হিসেবে গড়ে তুলতে নতুন ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) বাস্তবায়ন করেছে, যা ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কার্যকর। তবে নতুন ড্যাপ বৈষম্যমূলক এবং এটি আবাসন খাতের জন্য বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

‘বর্তমানে বিনিয়োগের পরিবেশ অনুকূল না থাকায় মানুষের প্লট কেনার আগ্রহ কমেছে। আমরা ব্যবসায় সন্তোষজনক অবস্থায় নেই।’

যুগান্তর : এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কী?

মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া : আমরা সবার জন্য আবাসনের কাজ করছি। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। দরকার জমি উন্মুক্তকরণ, ট্যাক্স উন্মুক্তকরণ এবং প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপে জমি ফ্রি করে দিতে হবে। আবাসন খাতের অন্যতম সমস্যা রেজিস্ট্রেশন ফি। ফ্ল্যাট কেনাবেচায় ভাটার কারণ হিসেবে এ বিষয়টিকে সামনে এনেছেন ব্যবসায়ী নেতারা। তারা বলছেন, নতুন ও পুরনো ফ্ল্যাটের নিবন্ধনের হার একই হওয়ায় বাজার বড় হচ্ছে না তাছাড়া একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করতে গেলে ১৬-১৭ শতাংশ রেজিস্ট্রেশন খরচ হয়। আমাদের আলাদা একটি রিয়েল এস্টেট কোর্ট থাকা দরকার ছিল। অর্থনীতিতে আমরা একটি বড় ভূমিকা পালন করছি। অথচ আবাসন খাতের নিজস্ব কোনো ব্যাংক নেই।

যুগান্তর : নতুন পরিস্থিতিতে, নতুন সরকারের কাছ থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা আপনার আশা করেন?

মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া : গত বছরের আগস্টে ঢাকা মহানগরের জন্য নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপ (২০২২-৩৫ সাল) কার্যকর হওয়ার পর থেকে আবাসন খাতে নতুন প্রকল্পের সংখ্যা কমে গেছে। আগে ঢাকার বেশির ভাগ এলাকায় ভবনের যে আয়তন পাওয়া যেত; সে তুলনায় এখন পাওয়া যাচ্ছে ৬০ শতাংশ আয়তন। ফলে, জমির মালিকরা আবাসন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রকল্প করতে আগ্রহী হচ্ছেন না।

যুগান্তর : আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আপনাদের কোনোরকম সংযোগ আছে কিনা? তারা কীভাবে আপনাদের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হতে পারে?

মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া : শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা অপরিসীম। বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলতে অর্থনীতির বিশেষ বিশেষ খাতে আর্থিক সহায়তা দানের লক্ষ্যে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বুঝায়। শিল্প ও বাণিজ্যের উন্নয়ন ও বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তবে ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদি আমানত নিয়ে অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম