Logo
Logo
×

খেলা

আহা রে ক্রিকেট!

Icon

পারভেজ আলম চৌধুরী

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চিরকুটের শারমিন সুলতানা সুমির গাওয়া ‘আহা রে জীবন’ গানটি যেন শুক্রবার রাতে সিলেটে ফিরে এলো প্রথম টি ২০ ম্যাচের শেষ ওভারে। করিম জানাতের হ্যাটট্রিকের পর শরীফুল ইসলামের বাউন্ডারিতে এক বল বাকি থাকতে দুই উইকেটের জয় বাংলাদেশের। ‘আহা রে জীবন’ হয়ে গেল ‘আহা রে ক্রিকেট’। জীবনের মতো ক্রিকেটেও থাকে বাঁকবদল। ক্রিকেট সত্যিই মজার খেলা। মজার এবং রহস্যেরও। কী দারুণ না! সহজ ম্যাচের কঠিন শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান যখন কথা বলতে আসছেন, তখন শুরু হচ্ছে বৃষ্টি। চার্লি চ্যাপলিনের একটা বিখ্যাত উক্তি এরকম, ‘আমি বৃষ্টিতে ভিজে কাঁদি। কেউ দেখতে পায় না আমার গড়িয়ে পড়া অশ্রু।’

আরেকটু হলেই হয়তো কাঁদতে হতো বৃষ্টিতে। শরীফুল সেটা হতে দেননি। কিন্তু কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া গুলির মতো পাওয়া জয়ের আসল রূপকার যিনি, সেই তাওহিদ হৃদয়ই এই ম্যাচে বাংলাদেশের ‘হার্ট’। শামীম হোসেনের (২৫ বলে ৩৩) সঙ্গে মাত্র ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়ার পথে ৩২ বলে অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংস খেলা তাওহিদ ক্রমশ বাংলাদেশ দলের ‘হৃদয়’ হয়ে উঠছেন। ম্যাচসেরা তিনিই।

ম্যাচ খানিকটা থমকে গিয়েছিল একবারই। ১৫৫ তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ যখন ৪১/৩। একসময় মনে হয়েছিল জয় বুঝি শ্রাবণের রোদ হতে চলেছে।

তাওহিদ-শামীমের জুটি সেই শঙ্কাকে ছুটি দিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে দেয় স্বাগতিকদের।

আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান বলছিলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, মাঠ ছিল ভেজা। আমাদের শক্তির অর্ধেক শুষে নেয় ভেজা বল।’ সাকিব স্বীকার করেন, ‘নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম। তবে এই বিশ্বাস ছিল যে, আমাদের টেলএন্ডাররাও ব্যাট করতে পারে।’

সাকিবের কথা শেষে বৃষ্টি আবার শুরু করে ব্যাটিং-বোলিং! ভাগ্যিস, সারাটা ম্যাচ মেঘলা আকাশ হয়নি!

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম