Logo
Logo
×

খেলা

দি মারিয়াকে ‘চ্যাম্পিয়ন’ হিসাবেই বিদায় দিতে চান মেসি

Icon

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

‘আর্জেন্টিনার জার্সিতে নিজের সব সাফল্যেই সহায়ক হিসাবে বন্ধু আনহেল দি মারিয়াকে পাশে পেয়েছেন লিওনেল মেসি। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিক ফুটবলে স্বর্ণজয়ের মধ্যদিয়ে শুরু তাদের যুগল-যাত্রা। এরপর মেসির নেতৃত্বে ২০২১ কোপা আমেরিকা, ২০২২ ফিনালিসিমা ও ২০২২ বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। প্রতিটি ফাইনালেই গোল করে মেসির ক্যারিয়ারকে পূর্ণতা দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন দি মারিয়া। প্রিয় বন্ধুর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষটা স্মরণীয় করে রাখতে চান আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। বাংলাদেশ সময় সোমবার সকালে এবারের কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।

ফাইনাল খেলেই আর্জেন্টিনার জার্সি তুলে রাখবেন দি মারিয়া। দেশের হয়ে মেসিরও এটা শেষ ম্যাচ হতে পারে। কারণ, ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কিছু জানাননি তিনি। কোপার ফাইনালের আগে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে চান না মেসি। তার মতে, আলোচনায় থাকার সময়টা এখন দি মারিয়ার। ফক্স স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দি মারিয়ার অবসর নিয়ে মেসি বলেছেন, ‘কোপা আমেরিকা শেষে অবসরে যাওয়ার কথা আগেই সে জানিয়ে দিয়েছে। জাতীয় দলের হয়ে তার শেষ মুহূর্তে আমরা পাশেই আছি। আনহেলকে আমরা চ্যাম্পিয়ন হিসাবে বিদায় দিতে চাই। সে আগের চেয়ে এখন বেশি আবেগপ্রবণ। আমরা এখন সব কিছুই উপভোগের চেষ্টা করি।’

২৩ বছর পর কোপার ফাইনালে ওঠা কলম্বিয়ার বিপক্ষে কাগজে-কলমে পরিষ্কার ফেভারিট আর্জেন্টিনা। মেসি অবশ্য কলম্বিয়াকে মোটেও সহজ প্রতিপক্ষ ভাবছেন না। ২০২২ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ গোলে হারার পর টানা ২৮ ম্যাচে অপরাজিত কলম্বিয়া। দলটিকে এমন অজেয় করে তুলেছেন আর্জেন্টাইন কোচ নেস্তর লরেঞ্জো, যিনি আর্জেন্টিনার হয়ে ১৯৯০ বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছেন। কলম্বিয়াকে তাই সর্বোচ্চ সমীহ করছেন মেসি, ‘আমরা উরুগুয়ের বিপক্ষে তাদের ম্যাচটা দেখেছি। জানি, ফাইনাল কতটা কঠিন হবে। কলম্বিয়া দলটা খুবই ভালো। অনেক লম্বা সময় ধরে তারা অপরাজিত। দারুণ কিছু খেলোয়াড় আছে তাদের। আর ফাইনাল সব সময়ই একটু অন্যরকম হয়। তবে আমরা পুরো টুর্নামেন্টের মতো ফাইনালের আগেও নির্ভার আছি। ম্যাচটা কেমন হবে সেটা নিয়েই শুধু ভাবছি।’

সবশেষে ফাইনালের চাপ ও প্রস্তুতি নিয়ে মেসি বলেন, ‘সত্যিটা হলো আমি শান্তই আছি। এখন সব কিছু অনেক বেশি উপভোগ করার চেষ্টা করি। কোনো তাড়াহুড়ো নেই, প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করি। সবশেষ ফাইনালের আগেও ঘুমটা ভালো হয়েছিল। কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা অনেক দেরিতে ঘুমাতে গিয়েছিলাম। সবাই একসঙ্গে বসে গল্প করেছি, পান করেছি, কার্ড খেলেছি। তাই দেরিতে ঘুমাতে গেলেও ঘুম ভালো হয়েছিল।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম