‘অ্যাথলেটিক্স বাঁচাতে প্রয়োজন অ্যাথলেটদের’
‘একসময় এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জিতলেও দেশের অ্যাথলেটিক্সে এখন দুর্দশা’
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নব্বইয়ের দশকে টানা দুটি এসএ গেমসে (১৯৮৫ ও ১৯৮৭) ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণজয়ের রেকর্ড ছিল প্রয়াত অ্যাথলেট শাহ আলমের। ১৯৯৩ ঢাকা এসএ গেমসে একই ইভেন্টে স্বর্ণজয়ী বিমল চন্দ্র তরফদার এবং ১৯৯৫ মাদ্রাজ এসএ গেমসে ২০০ স্প্রিন্টে স্বর্ণ জিতেছিলেন প্রয়াত অ্যাথলেট মাহবুবুল আলম। তাদের কোচ আরেক তারকা অ্যাথলেট মো. শাহ আলমকে গত সাত বছর অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনে অবাঞ্ছিত করা হয়েছিল। শুধু মো. শাহ আলমই নন, অ্যাডভোকেট আবদুর রকিবের কমিটি ফেডারেশনে আসতে দেয়নি আরও অনেক সাবেক তারকা অ্যাথলেটকে।
অ্যাথলেটিক্সে গত সাত বছর জেঁকে বসা কর্তাদের অধিকাংশ অ্যাথলেটিক্সের বাইরের মানুষ। সবশেষ ২০২৩ সালের নির্বাচনেও কমিটিতে ছিলেন অ্যাথলেটিক্সের বাইরের লোকরা। উন্নতির বদলে অবনতির দিকে গেছে অ্যাথলেটিক্স। শাহ আলমের মতো তারকারা ছিলেন উপেক্ষিত। ২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন মুন্সীগঞ্জের এই অ্যাথলেট। অ্যাথলেটিক্সকে বাঁচাতে রাষ্ট্রীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া মো. শাহ আলমের সঙ্গে এক হয়েছেন সাবেক অ্যাথলেট ও মো. ইয়াহিয়া, সাবেক তারকা অ্যাথলেট মিজানুর রহমান, জ্যোৎস্না আফরোজ, ইকবাল হোসেন, মোস্তাক আহমেদ, মিলজার হোসেন, জ্যোৎস্না বেগম, রেহানা পারভীন, ফরিদ খান চৌধুরী ও খুরশিদা খুশীরা।
মো. শাহ আলম বলেন, ‘অ্যাথলেটিক্স বাঁচাতে অ্যাথলেটদের প্রয়োজন। একসময় এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জিতলেও দেশের অ্যাথলেটিক্সে এখন দুর্দশা। এ থেকে উত্তরণ প্রয়োজন।’ সাবেক তারকা অ্যাথলেট ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী প্রয়াত শাহ আলমের মতো স্বর্ণজয়ী অ্যাথলেট তৈরি করার কারিগর আমাদের আরেক অ্যাথলেট মো. শাহ আলম। যিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। আশা করি, উনার হাতে ফের আন্তর্জাতিক ট্র্যাকে ফিরবে হাসি। অ্যাথলেট, কোচ ও সংগঠক-একাধারে তিন ধারাতেই তিনি সফল। দেশের অ্যাথলেটিক্সের সোনালি অতীত ফেরাতে তারকা অ্যাথলেটদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত।’
