Logo
Logo
×

খেলা

বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ

সাকিবকে যে উপদেশ দিয়েছিলেন মেজর (অব.) হাফিজ

Icon

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সাকিব আল হাসানকে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে নিষেধ করেছিলেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। শনিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মিলনায়তনে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ। তিনি বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনের জন্য কিছুই করেননি রাজনীতিবিদরা।’ অনুষ্ঠানে তামিম ইকবাল বিসিবিতে যোগ্য ক্রিকেট সংগঠকদের নির্বাচিত করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘যারা জেলা ও বিভাগ থেকে উঠে আসেন, তারা বিসিবিতে নির্বাচিত হয়েই শেকড় ভুলে যান।’ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও গোলরক্ষক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হকের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রবীণ ক্রীড়া সংগঠক মনিরুল হক চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, ক্রীড়া সংগঠক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ব্রাদার্স ইউনিয়নের আহ্বায়ক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ক্রীড়া সংগঠক শরিফুল আলম, জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল, সাবেক ফুটবলার সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালি সাব্বির, ক্রীড়া সংগঠক রফিকুল ইসলাম বাবু, হকির সাবেক অধিনায়ক সাজেদ এএ আদেল।

মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, ‘সাকিব আমার বাসায় এসেছিল একদিন। তাকে অনেক কথা বললাম। কিন্তু তাকে যে উপদেশ দিয়েছিলাম, সেটি সে গ্রহণ না করে বিপদে পড়েছে। তাকে আমি বলেছিলাম, যা কর না কর, আওয়ামী লীগ করবা না। সে এটা শুনে বিমর্ষ হলো। তার ধারণা ছিল, আওয়ামী লীগে গেলে মন্ত্রী হবে, এটা-ওটা হবে। এমপি তো হবেই।’

তামিম ইকবালকে রাজনীতির বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনের জন্য আমাদের রাজনীতিবিদরা আজ পর্যন্ত তেমন কিছুই করেননি। ক্রীড়াঙ্গন একটি অন্য ধরনের অঙ্গন। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে ক্রীড়াবিদদের মনমানসিকতার অনেক তফাত রয়েছে। আমি কখনোই চিন্তা করি নাই যে, রাজনীতি করব।’

জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, ‘সম্প্রতি জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কমিটি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। বাদ পড়েছেন ত্যাগী ও দক্ষ সংগঠকরা। তাই ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের আহ্বান জানাচ্ছি, প্রতিটি জেলা ও বিভাগে যে কমিটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সবাই জেলা প্রশাসকের কাছে যাবেন, যাদেরকে দিয়ে কাজ হবে তাদেরকে নিয়ে কমিটি পাঠাবেন। ক্রীড়াঙ্গনের যেসব জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে, যারা করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করুন। তাদের বিচার হবে। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত বাফুফের সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনেরও বিচার হবে।’

ব্রাদার্স ইউনিয়নের আহ্বায়ক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াকে আপনারা এগিয়ে নিয়ে যাবেন। দেশের যুবসমাজকে মাদকের রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত করবেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের দলগুলোকে ভালো ফল বয়ে আনতে সহায়তা করবেন, এটাই আপনাদের কাছে আমার চাওয়া। রাজনীতির প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। সর্বসম্মত ক্রীড়াঙ্গন নিশ্চিত করতে হবে।’

পরে ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের ৪৪ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

শরিফুল আলম আহ্বায়ক এবং সৈয়দ দেওয়ান আমিনুল হক সদস্য সচিব মনোনীত হন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম