Logo
Logo
×

খেলা

আবেগের ম্যাচে জাল টিকিটের ছড়াছড়ি!

Icon

জ্যোতির্ময় মন্ডল

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ঘড়িতে তখন ঠিক দুপুর ১২টা। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। জীবন বীমা ভবনের বিপরীতে জাতীয় স্টেডিয়ামের তিন নম্বর গেটে সবার সামনে এসে দাঁড়ালেন বাসাবো থেকে আসা ইফতেখার হোসেন। ম্যাচ শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টায়। গেট খুলবে বেলা ৩টায়। স্টেডিয়ামের ভেতরে-বাইরে মোট সাত ঘণ্টা অপেক্ষার পর দেখেছেন স্বপ্নের ফুটবল ম্যাচ। বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের ম্যাচ দেখার জন্য টিকিট হাতে নিয়ে তার চেয়েও বেশি সময় অপেক্ষা করে খেলা দেখেছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। মঙ্গলবার দিনজুড়েই ছিল দর্শকদের উন্মাতাল-উন্মাদনার একদিন।

স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে শুধুই ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ স্লোগান। স্টেডিয়ামের বাইরে ব্যান্ড বাজিয়ে উৎসবে মেতেছিলেন সমর্থকরা। জ্বলেছে ফ্লেয়ার, উড়েছে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহামেদুলদের খেলা দেখা নিয়ে উচ্ছ্বাস ছিল সবার চোখে-মুখে।

যারা টিকিট পাননি, তাদের ছিল প্রচণ্ড হাহাকার। একটি টিকিটের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেছেন কয়েক হাজার সমর্থক। ৪০০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে চার হাজার টাকায়। এর মধ্যে ছিল জাল টিকিটের ছড়াছড়ি। শামসুর নামে এক দর্শক ১০ হাজার টাকা দিয়ে তিনটি টিকিট কিনে ঢুকতে গিয়ে দেখেন জাল টিকিট। সঙ্গে পুলিশের হয়রানি। অনেক খুঁজেও সেই জাল টিকিট বিক্রেতাকে পাননি তিনি। কত বছর পর ফুটবলে এমন উন্মাদনা, তা জানাতে গিয়ে ৬০ বছরের জামসেদ আলী বলেন, ‘একসময় ফুটবলের কোনো ম্যাচ মিস করতাম না। আবার যে মাঠে যাওয়ার আগ্রহ তৈরি হবে এটা ভাবতেই পারিনি কখনো। দল হারুক বা জিতুক হামজাদের আগমনে ফুটবলে যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে সেটা ধরে রাখতে পারলে আবার ফুটবলে যৌবন ফিরে পাবে।’

এদিকে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছে আউটার মাঠে সাধারণ মানুষদের দেখার জন্য বড় পর্দা বসানো নিয়ে। এমন এক জায়গায় এই বিশাল আয়োজন যে, সাধারণ মানুষ সেখানে প্রবেশই করতে পারেনি। বিশাল পর্দায় খেলা চললেও সাধারণ মানুষের ভাষায় সেটা অযথা আয়োজন।

আরও বেশি সমালোচনা হয়েছে স্টেডিয়ামের ভেতর পর্যাপ্ত পানি পানের ব্যবস্থা না থাকায়। চার ঘণ্টা আগে মাঠে দর্শক প্রবেশ করেছে অথচ খেলা শুরুর অনেক আগে থেকেই মাঠে বিক্রি করা পানি শেষ হয়ে যায়। ২০ টাকার একটি পানির বোতল বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়। তবুও প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পানি পাননি দর্শকরা। ২৫ টাকা দামের একটি আইসক্রিম বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়। ছিল না পর্যাপ্ত ফাস্টফুডও। স্টেডিয়ামের আসন বিন্যাস দেখানোর ছিল না কেউ। আসন এমন-একজন ঢুকলে আরেকজন ঢুকতে পারছিলেন না।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম