Logo
Logo
×

খেলা

সমালোচনা শুনতে প্রস্তুত মিরাজ

Icon

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

১২ মাসের জন্য ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার পর নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান মিরাজ জানিয়েছেন, অধিনায়ক বদলালেও ড্রেসিংরুমের পরিবেশে কোনো প্রভাব পড়বে না। আগেরদিন টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসাবে সংবাদ সম্মেলনে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কাল মিরাজ এলেন ওয়ানডে অধিনায়ক হয়ে। আগেরদিন বিসিবি থেকে বলা হয়, ‘তুমি অধিনায়ক।’ এমন একসময়ে এই পরিবর্তন, যখন আগামী মাসে শ্রীলংকার বিপক্ষে হোম সিরিজের জন্য ওয়ানডে দল নিয়ে কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছিলেন শান্ত। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীনের ফোন পেয়ে শান্ত থমকে যান। তাকে যে ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে আর রাখা হচ্ছে না, এই নিয়ে শান্তর সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজনই বোধ করেনি বোর্ড। মিরাজকেও হুট করে নেতৃত্বে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলে তাই বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো তাকে মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো অধিনায়ক পরিবর্তন নিয়ে। দল খারাপ করলে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে, যুগান্তরের এমন প্রশ্নে মিরাজ জানালেন, প্রশংসা শুনতে যেমন প্রস্তুত থাকেন ক্রিকেটাররা, খারাপ করলে সমালোচনা শুনতেও তিনি প্রস্তুত।

প্রশ্ন : এতদিন বলেছেন, অমুক ভাই যেভাবে বলে দিয়েছেন সেভাবে করেছি। এখন তো আপনি মাঠে সেই বড় ভাইয়ের ভূমিকায়?

মেহেদী হাসান মিরাজ : মাশরাফি ভাইয়ের অধিনায়কত্বে আমার অভিষেক হয়েছে। একাধিক অধিনায়কের অধীনে খেলেছি। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তারা যেভাবে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেন, সেটা অনুসরণ করেছি। কঠিন সময়ে শক্ত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি হয়তো তা কাজে লাগাতে পারব।

প্রশ্ন : মাঠে কিভাবে জুনিয়রদের পরামর্শ দেবেন?

মিরাজ : এখন আমাদের দায়িত্ব নেওয়ার সময় এসেছে। আমরা ঢের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছি গত ৮-৯ বছরে। পারফর্ম করতে হবে, জুনিয়রদের এই পরামর্শ দেব। আমরা যখন প্রথম আসি, বড় ভাইয়েরা আমাদের যেভাবে সাহায্য করেছেন, এখনকার ড্রেসিংরুম সেভাবে ভালো রাখার চেষ্টা করব। একজন ক্রিকেটার যেন অনুভব করে সে একা নয়, তার সঙ্গে সবাই আছে।

প্রশ্ন : নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতিতে চার ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবার এক বছরের জন্য দায়িত্ব পেলেন। লিটন দাসের মতো বিশ্বকাপ পর্যন্ত পেলে কি ভালো হতো না?

মিরাজ : একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অধিনায়ক হিসাবে আমার অভিষেক হয়েছিল। অধিনায়ক শান্ত চোটে পড়েছিল। সহ-অধিনায়ক হওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই পরিস্থিতিতে অধিনায়কত্ব করা কঠিন। সেটআপ ও পরিকল্পনা শান্তর ছিল। লম্বা সময়ের জন্য হলে ভালো হয়। চেষ্টা করব দলকে সুন্দর একটা জায়গায় দাঁড় করাতে। দল হিসাবে আমরা এখন সংগ্রাম করছি। বোর্ড হয়তো ভেবেছে, দলটাকে একটু দাঁড় করা যাক আগে। এরপর হয়তো পরবর্তী ধাপের কথা চিন্তা করা হবে।

প্রশ্ন : আপনি কখন জানলেন অধিনায়ক হচ্ছেন?

মিরাজ : আমাকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) ফাহিম স্যার ডেকে বলেন, তোমাকে আমরা দায়িত্ব দেওয়ার কথা চিন্তা করছি। আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওয়ানডে দলটা ঠিক করতে হবে। আমরা সেভাবে পরিকল্পনা করছি।

প্রশ্ন : যুব দলে শান্ত আপনার অধীনে খেলেছেন। জাতীয় দলে আপনি তার নেতৃত্বে খেলেছেন। এখন আবার শান্ত আপনার অধীনে খেলবেন। তার সঙ্গে কি আলোচনা করেছেন?

মিরাজ : তার সঙ্গে কথা হয়েছে। ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে ক্রিকেট খেলছি। অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে একসঙ্গে আছি। আমাদের মধ্যে অধিনায়ক হওয়ার বিষয়টা প্রভাব ফেলে না। শান্তর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হবে না। দলের হয়ে খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। দুজনই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবি। আমাদের সিনিয়ররা একটি পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। এখন আমাদের দায়িত্ব বাংলাদেশ দলটাকে আরও উপরে নিয়ে যাওয়া। একটু খারাপ সময় যাচ্ছে। আশা করি, দ্রুত কেটে যাবে।

প্রশ্ন : আজ অধিনায়ক হয়েছেন বলে আপনি হাসিখুশি। খারাপ করলে সমালোচনা হবে। আপনি কি এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত?

মিরাজ : সাংবাদিকরা যে শুধু সমালোচনা করেন, তা নয়। প্রশংসাও করেন। আমরা খেলার মাঠেও বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ি। সেখান থেকেও বের হয়ে আসতে হয়। তাই অধিনায়ক হিসাবে সব পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হয় সব সময়।

প্রশ্ন : বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত ছাড়াই অধিনায়ক নির্বাচন হলো। আপনি এটাকে কিভাবে দেখছেন?

মিরাজ : আমি জানি না, বোর্ড কিভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যতটুকু জানি, বোর্ড সভার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত হয়। কেউ একা নিতে পারে না। অনেক সময় পরিস্থিতি তো ঘটে। আমরা সবাই সব সময় সেভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম