ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মেয়েদের এশিয়ান কাপে খেলবে বাংলাদেশ। মিয়ানমারকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে গেছেন আফঈদা খন্দকার, ঋতুপর্ণা চাকমারা। তাদের হাতছানি দিচ্ছে বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকে খেলার স্বপ্নও।

১৯৭৫ সালে শুরু এশিয়ান কাপের মূলপর্বে এবারই প্রথম খেলবে বাংলাদেশ। আগামী বছর ১-২১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার তিনটি শহরের পাঁচটি ভেন্যুতে হবে মেয়েদের এশিয়ান কাপ। সিডনির স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্টার্ন সিডনি স্টেডিয়াম, গোল্ডকোস্টের গোল্ডকোস্ট স্টেডিয়াম, পার্থের রেকটাঙ্গুলার স্টেডিয়াম ও পার্থ স্টেডিয়ামে হবে ১২ দলের লড়াই। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া সরাসরি মূলপর্বে খেলবে। ২০২২ সালে সবশেষ মেয়েদের এশিয়ান কাপের ফলের ভিত্তিতে সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছে আরও তিনটি দেশ-বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া ও তৃতীয় হওয়া জাপান। বাছাইপর্ব পেরিয়ে সুযোগ পাবে আট গ্রুপের আট চ্যাম্পিয়ন। ২০২৬ এশিয়ান কাপে ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসাবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে প্রথম দল হয়ে জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে ১২ দলে কে কার সঙ্গে খেলবে, তা এখনো ঠিক হয়নি।

২৯ জুলাই সিডনি টাউন হলে ড্রতে তা নির্ধারণ হবে। ২০২৬ মেয়েদের এশিয়ান কাপে বাংলাদেশসহ অন্য দেশের জন্য বাড়তি পাওয়া ২০২৭ মেয়েদের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। মেয়েদের বিশ্বকাপ হবে ব্রাজিলে। এশিয়া থেকে সরাসরি ছয়টি দল ও আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলে সুযোগ পেতে পারে আরও দুটি দল। সেমিফাইনালে ওঠা চার দল সরাসরি সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাওয়া চার দলের সামনেও থাকবে সুযোগ। চার দল দুটি প্লে-ইন ম্যাচে মুখোমুখি হবে। জয়ী দুই দল পেয়ে যাবে বিশ্বকাপের টিকিট। হেরে যাওয়া দুই দল যাবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে।

শুধু বিশ্বকাপ নয়, রয়েছে অলিম্পিকের হাতছানিও। ২০২৬ মেয়েদের এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আট দল খেলার সুযোগ পাবে ২০২৮ অলিম্পিক ফুটবলের বাছাইপর্বে। এতে দুই গ্রুপে দলগুলো বিভক্ত হয়ে খেলবে। দুই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক নারী ফুটবলে খেলার সুযোগ পাবে।