Logo
Logo
×

খেলা

স্বপ্না রানীর সাক্ষাৎকার

আমাদের লক্ষ্য বড় হচ্ছে

Icon

ওমর ফারুক রুবেল

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আমাদের লক্ষ্য বড় হচ্ছে

দুদিন আগে মিয়ানমার থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। ভ্রমণক্লান্তি এখনো কাটেনি মিডফিল্ডার স্বপ্না রানীর। ঘুমালেই নাকি মিয়ানমারের সুখস্মৃতি ফিরে আসে স্বপ্নের ডানায় ভর করে। ভেসে আসে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে প্রথম গোলের পর সতীর্থদের অভিনন্দনে সিক্ত হওয়ার মুখস্মৃতি। মিয়ানমার ও এশিয়ান কাপে প্রথমবারের মতো খেলার যোগ্যতা অর্জনের প্রশান্তি মিডফিল্ডার স্বপ্না রানীর কথায়। লিখেছেন ওমর ফারুক রুবেল

প্রশ্ন : এই প্রথম এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেন। কেমন লাগছে?

স্বপ্না রানী : অবশ্যই ভালো লাগছে। কারণ এটাই প্রথম আমাদের জন্য। এর আগে আমরা কখনো কোয়ালিফাই করতে পারিনি। এই দলের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত।

প্রশ্ন : ক্লান্ত মনে হচ্ছে?

স্বপ্না : হ্যাঁ, দীর্ঘ সফর করেছি। ঠিকমতো ঘুম হয়নি। ক্লান্তি ভাব কাটছে না।

প্রশ্ন : অস্ট্রেলিয়ায় আগামী মার্চে এশিয়ান কাপ এখনো আট নয় মাস বাকি। বড় আসরে খেলার জন্য কেমন প্রস্তুতি দরকার?

স্বপ্না : সবার আগে ভালো প্রশিক্ষণ দরকার। আরও প্রীতি ম্যাচ খেলতে চাই। ছেলেদের মতো কন্ডিশনিং ক্যাম্প চাই। যাতে একসঙ্গে অনুশীলন করতে পারি। আমাদের যা যা দরকার, সব যেন দেওয়া হয়।

প্রশ্ন: তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ সাত গোল দিয়েছে। শুরুটা আপনি করেছেন। ম্যাচে প্রথম গোল করার পর কেমন লগেছিল?

স্বপ্না : আসলে গোল করতে সবারই ভালো লাগে। গোল করার পর সেই মুহূর্তের কথা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। গোল করতে সবারই ভালো লাগে। আমার লক্ষ্য ছিল ওই ম্যাচে একটি হলেও গোল করা।

প্রশ্ন : এমন পণ কেন?

স্বপ্না : আমাকে অনেকেই বলেছিল, অনেকদিন তোমার গোল দেখি না। তোমার কাছে একটি গোল চাই। আমারও লক্ষ্য ছিল তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে গোল করা।

প্রশ্ন : গোল করার পর অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার আপনাকে কী বলেছিলেন?

স্বপ্না : অধিনায়ক আমার পিঠ চাপড়ে বলেছিলেন, ওয়েলডান স্বপ্না আপু। খুব ভালো লেগেছিল।

প্রশ্ন : দুটি সাফ জেতা দলের সদস্য ছিলেন। মিয়ানমারে অসাধ্য সাধন করা দলেও খেললেন। কোনটাকে এগিয়ে রাখবেন?

স্বপ্না : দুটি দুরকম। আমার কাছে ২০২২ সালে সাফ জেতাটাই বড় পাওয়া। তখন আমি নতুন। এখন একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছি। এটাও বড় পাওয়া। এখন এশিয়ান কাপে খেলতে যাব আমরা। লক্ষ্যটা পূরণ হয়েছে। আস্তে আস্তে আমাদের লক্ষ্য বড় হচ্ছে।

প্রশ্ন : আপনাদের সামনে বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকের হাতছানি। সেখানে কী লক্ষ্য থাকবে?

স্বপ্না : অস্ট্রেলিয়ায় শুধু এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলতে যাব তা নয়, যেহেতু সুযোগ বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করার, সেদিকেও আমাদের দৃষ্টি থাকবে। এশিয়ান কাপে ভালো খেলে ওই দুটি টুর্নামেন্টেও কোয়ালিফাই করতে চাই।

প্রশ্ন : আগে সাবিনা খাতুনের অধিনায়কত্বে খেলেছেন। এবার খেললেন আফঈদার অধিনায়কত্বে। আপনার কাছে কোন অধিনায়ক সেরা?

স্বপ্না : নো কমেন্টস।

প্রশ্ন : ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারকে নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। তার সম্পর্কে আপনার কী মত?

স্বপ্না : কোচ যিনিই আসুন না কেন, তিনি যা ইনফরমেশন দেন সে অনুযায়ী খেলতে হবে।

প্রশ্ন : অনেকেই বলেন, ফুটবলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল নয়। আপনার কী মত?

স্বপ্না : আগে হয়তো উজ্জ্বল ছিল না। এখন ফুটবলে মেয়েরা এগিয়ে আসছে। আকৃষ্ট হচ্ছে। আশা করি, সামনের দিনে ফুটবল আরও এগিয়ে যাবে।

প্রশ্ন : দেশে মেয়েদের লিগ নিয়মিত নয়। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

স্বপ্না : লিগ খেলাটা খুবই দরকার। খেললে অভিজ্ঞতা বাড়ে। আর্থিক সমস্যা দূর হয়। পরিবারকে সহায়তা করা যায়। লিগটা হলে ভালো হবে।

প্রশ্ন : গত বছর মিয়ানমারে খেলতে যেতে পারেননি। আপনারা পারেন, এবার কি সেটাই দেখিয়ে দিলেন?

স্বপ্না : গত বছর আমরা আর্থিক কারণে মিয়ানমারে খেলতে যেতে পারিনি। এবার জেদ ছিল, যেভাবেই হোক মিয়ানমানের সঙ্গে জিততে হবে।

প্রশ্ন : আপনার সুখস্মৃতি?

স্বপ্না : ২০২২ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতার পর যখন ছাদখোলা বাসে বাফুফে ভবনে আসি, ওইদিনটা আমার জীবনের স্মরণীয় দিন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম